ব্রডের আগুনে পুড়ে ছারখার ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রথম টেস্টে কেন বাদ দেয়া হয়েছিল এই পেসারকে, সেটাই অনেকে এখনও খুঁজে বের করতে পারেননি। ব্রডকে বাদ দেয়ার ফল সাউদাম্পটনে হাতেনাতে পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরেছিল ৪ উইকেটের ব্যাবধানে।

দ্বিতীয় টেস্টেই ফিরিয়ে আনা হয় অভিজ্ঞ এবং ইংল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী স্টুয়ার্ট ব্রডকে। জয়ের ধারায় ফিরলো ইংলিশরাও। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ওই টেস্টে বেন স্টোকসের অসাধারণ সাফল্যের সঙ্গে যোগ হয়েছিল কামব্যাক করা ব্রডের আগুনে বোলিংও। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৬ (৩+৩) উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

এবার তো সেই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে একার হাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শেষ করে দিলেন এই ইংলিশ পেসার। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ৩৬৯ রানের জবাব দিতে নেমে ক্যারিবীয়রা মুখোমুখি হলো ব্রডের আগুনে বোলিংয়ের। সেই আগুনে জ্বলে-পুড়ে ছাই হয়ে গেলো জেসন হোল্ডারের দল। অলআউট হলো মাত্র ১৯৭ রানে। ফলে প্রথম ইনিংসেই ১৭২ রানের লিড পেয়ে গেলো ইংলিশরা।

মাত্র ১৪ ওভার বল করলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। মেডেন নিলেন ৪টি। রান দিলেন ৩১টি এবং উইকেট নিলেন ৬টি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিংহভাগ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট, ব্যাটসম্যান রস্টোন চেজ, অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, উইকেটরক্ষক শেন ডওরিচ, রাখিম কর্নওয়াল এবং কেমার রোচের উইকেট তুলে নেন তিনি।

শুধু এটা ব্রডই জ্বলে ওঠেননি। তার সঙ্গে ক্যারিবীয়দের ওপর আগুন ঝরিয়েছেন আরেক অভিজ্ঞ পেসার জেমস অ্যান্ডারসনও। তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট এবং ১টি করে নিয়েছেন জোফরা আরচার এবং ক্রিস ওকস।

ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। শেন ডওরিচ করেন ৩৭ রান। জন ক্যাম্পবেল ৩২ এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড খেলেন ২৬ রানের ইনিংস।

১৭২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এখনও পর্যন্ত কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ৪০ রান। ১৪ রান নিয়ে ররি বার্নস এবং ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ডোম শিবলি।