মঙ্গলবার , ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ব্যাংকিং খাত ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অভিশপ্ত বছর

Paris
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯ ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিদায়ী বছরে ব্যাংকিং খাতে প্রবাসী আয় ছাড়া উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো সাফল্য নেই। উল্টো অনিয়ম, দুর্নীতি এবং লুটপাট ছিল চোখে পড়ার মতো। পরিচালকদের অর্থ আত্মসাতের কারণে ইতিমধ্যে দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পথে বসেছে। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকই উভয় প্রতিষ্ঠানকে দেউলিয়া ঘোষণা করার পক্ষে।

তবে সব শেষ একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অবসায়ক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আরও বেশকিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খুবই নাজুক। এসব প্রতিষ্ঠান আমানতকারীদের কোনো টাকা ফেরত দিতে পারছে না। এছাড়া খেলাপি ঋণের লাগামহীন প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ তলানিতে নামা, ব্যাংক ঋণে এক অঙ্কে সুদের হার নামানোর কথা দিয়েও কার্যকর না করা, ডলারের দামে উল্লম্ফন, আর্থিক খাতে তারল্য সংকটসহ নানা অস্থিরতায় কেটেছে ২০১৯ সাল।

এমন খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও নতুন করে আরও চারটি ব্যাংকের অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নিয়েও সরব ছিল বছরটি। এমন পরিস্থিতিতে বিদায়ী বছরটিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি অভিশপ্ত বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে নেয়া হয়নি তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম  বলেন, ব্যাংকিং খাত, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান; এমনকি পুঁজিবাজারসহ আর্থিক খাতের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এমনিতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে খরা। এভাবে চলতে থাকলে বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়বে। রাজনৈতিকভাবে শক্ত প্রতিশ্রুতি ছাড়া এর থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ  বলেন, ব্যাংকিং খাতে আগের বছর যেসব সমস্যা ছিল তা তো কমেইনি বরং আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে বড় ঋণখেলাপি, ঋণ অনিয়ম, আর্থিক কেলেঙ্কারি, সুশাসনের ঘাটতি, পরিচালকদের মধ্যে গণ্ডগোলসহ একটি সূচকেও উন্নতি হয়নি। বিশেষ করে সুশাসনের অভাবে এনআরবি ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ঝামেলা শুরু হয়েছে।

গত বছর যে অঙ্কের ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছিল। এবার মাত্র ৯ মাসেই সে অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে। এটা একটা খারাপ দিক। বেসরকারি খাতে ঋণ একদম কমে গেছে। এতে বিনিয়োগ না থাকায় কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এছাড়া ব্যাংকিং খাতে এখন নির্দেশিত ঋণ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। এর মাধ্যমে আবার পেছানো হল। তিনি বলেন, শুধু রেমিটেন্স বেড়েছে। এই একটি মাত্র সূচক ছাড়া সবগুলোসূচক কমবেশি খারাপ।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন  বলেন, ২০১৯ ছিল ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি দুঃসময়ের বছর। যদিও বছরটি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। অর্থাৎ ২০১৮ও ভালো ছিল না। ব্যাংকিং খাতের এসব অনিয়ম একদিনের নয়, ধারাবাহিকভাবে আসা এক সময়ের অনিয়মের সরু রাস্তা ধীরে ধীরে আরও চওড়া হচ্ছে।

ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো চেনা এবং খুব পরিচিত। এর প্রতিকারও কমবেশি সবাই জানেন। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। যেসব উদ্যোগ নিকট-অতীতে নেয়া হয়েছে, তা সমস্যা সমাধানের চেয়ে সমস্যা আরও বাড়িয়ে চলেছে। সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরে সমস্যায় জর্জরিত ব্যাংকিং খাতের মৌলিক কোনো সংস্কার হতে দেখা যায়নি।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ  বলেন, ২০১৯ ছিল ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি অভিশপ্ত বছর। অত্যন্ত খারাপ বছর পার করেছি। এর জন্য যত না ব্যাংক দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী নীতিনির্ধারকরা। কারণ তাদের বেশির ভাগ নীতিই ছিল উল্টো।

এ মুহূর্তে ব্যাংকিং খাতের বড় সমস্যা খেলাপি ঋণ। বিশ্বের সব দেশে খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর এবং শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই ঋণখেলাপিদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। এটা দেখে যারা ভালো গ্রাহক তারাও ঋণ পরিশোধ বন্ধ রেখে পুরস্কার পেতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।

তিনি বলেন, পুনঃতফসিল করে খেলাপি ঋণ কমাতে চাইলেও তা সম্ভব নয়, প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণ কমবে না। কারণ এটাকে সাময়িকভাবে কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখলেও পরবর্তীকালে ঠিকই বিস্ফোরণ ঘটাবে। এভাবে কৃত্রিম উপায়ে খেলাপি ঋণ কমানো উচিত নয়। এত দুর্যোগপূর্ণ বছর ব্যাংকিং খাত আগে কখনও দেখেনি।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকরা সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে নানা অবৈধ এবং অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। এতে বঞ্চিত হয়েছেন সাধারণ আমানতকারীরা।

অর্থনীতির বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর  বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে এত খারাপ অবস্থা নিকট-অতীতে ছিল না। বেশির ভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নযোগ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবই বলছে, ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হতেগোনা চার বা পাঁচটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব রেড এবং ইয়েলো জোনে অবস্থান করছে।

পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ন : অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর লুটপাটের অভিযোগে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান-পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসকে (পিএলএফএসএল) প্রথমবারের মতো অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এছাড়া অনিয়মের দায়ে বহিষ্কার করা হয় প্রতিষ্ঠানের ৯ পরিচালককে। এদিকে পিপলস লিজিং বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমানতকারীরা। তাদের আমানত ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আমানতকারীরা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই টাকা ফেরত পেতে অর্থমন্ত্রী ও গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন। কিন্তু এখনও কোনো সুরাহা হয়নি।

জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ  বলেন, পিপলস লিজিংকে অবসায়ন করা ঠিক হয়নি। যারা অবসায়ন করেছে তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে। দুর্নীতির শাস্তি অবসায়ন হতে পারে না।

এটাকে অন্য একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করে দিতে পারত। কিন্তু তা করেনি, উল্টো অবসায়ন করে দুর্নীতিবাজদের আড়াল করা হয়েছে। এর পুরো দায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি একদিনে অর্থশূন্য হয়ে যায়নি, তাদের চোখের সামনে দুর্নীতি-ঋণ অনিয়ম হয়েছে।

তারা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এখন আমানতকারীরা কীভাবে তাদের টাকা ফেরত পাবেন? তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকে লুটপাট হয়েছে। লুটপাটকারীদের কোনো শাস্তি হয়নি। একইভাবে ফারমার্স ব্যাংকেও ঋণ জালিয়াতি হয়েছে। জড়িত রাঘববোয়ালদের কোনো শাস্তি হয়নি।

এভাবে একের পর এক আর্থিক খাতে কেলেঙ্কারি করে পার পেয়ে গেছেন মূল হোতারা, সে কারণেই পিপলস লিজিংয়ের পরিচালকরা অপরাধ করতে সাহস পেয়েছেন। এসব কিছু আর্থিক খাত পতনের আলামত বলে মনে করেন বর্ষীয়ান এই ব্যাংকার। তার মতে, খাতটিকে বাঁচাতে হলে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রেকর্ড খেলাপি ও দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ : ‘খেলাপি ঋণ এক টাকাও বাড়বে না’ সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণার পরও গত নয় মাসে খেলাপি ঋণ না কমে উল্টো বেড়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বিদায়ী বছরে প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়াল।

যা স্বাধীনতার ৪৮ বছরে নতুন রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে অবলোপন বাদে শুধু খেলাপি ঋণই প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ২০১৮ সাল শেষে খেলাপি ছিল ৯৩ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। সে হিসাবে গত ৯ মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২২ হাজার ৯ কোটি টাকা। এছাড়া চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট অবলোপনকৃত ঋণ ৪০ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। বিশেষ সুবিধায় পুনর্গঠিত ঋণের পরিমাণ কমবেশি ১৫ হাজার কোটি টাকা। গত সাড়ে ছয় বছরে ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

এছাড়া বিশেষ সুবিধায় ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ঋণখেলাপিদের পুনঃতফসিলের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকায়। সবমিলিয়ে ব্যাংকিং খাতের দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ঋণখেলাপি, ঋণ অবলোপন, ঋণ পুনর্গঠন এবং পুনঃতফসিল করা ঋণকে একত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষায় স্ট্রেসড অ্যাসেট বা দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ বলা হয়।

ব্যাংক উদ্যোক্তা পরিচালকদের সুবিধা : ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সরকারের একাধিকবার নির্দেশনা দিলেও তা বিদায়ী বছরে কার্যকর করেনি বেসরকারি ব্যাংকের মালিকরা। অথচ সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত দেড় বছরে দফায় দফায় ৯ ধরনের সুবিধা দিয়েছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক।

কিন্তু সরকারি ব্যাংক এবং কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামায়নি। সুদহার এক অঙ্কে না এলেও ৯টি সুবিধার চারটিতেই প্রায় ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পেয়েছেন ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এক প্রকার বাধ্য হয়েই সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনতে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২৩ ডিসেম্বর সে কমিটির সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও অনুমোদন দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১ এপ্রিল থেকে শিল্প খাতের মেয়াদি এবং তলবি ঋণে এক অঙ্কের সুদ কার্যকর হওয়ার কথা।

বছরজুড়ে তারল্য সংকট : তারল্য সংকটের কারণে ধারাবাহিকভাবে কমছে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ।

এর আগে সেপ্টেম্বর শেষে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগস্টে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ, জুলাইয়ে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, জুনে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ, মে মাসে ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ, এপ্রিলে ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ, মার্চে ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ছিল ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ। অন্যদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ বা ধার নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে সরকার। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ মাস নয় দিনেই (১ জুলাই-৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৪৭ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা নেয়া হয়েছে।

নতুন চার ব্যাংকের তোড়জোড়ের একটির চূড়ান্ত অনুমোদন : চলতি বছরে শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় নতুন চার ব্যাংকের প্রাথমিক ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কমিউনিটি ব্যাংক চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে কার্যক্রমে এসেছে। কিন্তু বেঙ্গল কমার্শিয়াল, পিপলস ও সিটিজেন ব্যাংক চূড়ান্ত অনুমোদন এখনও পায়নি। কারণ প্রাথমিকভাবে আগ্রহপত্র বা লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) পাওয়ার পরও শর্ত অনুযায়ী পর্যাপ্ত মূলধন সংগ্রহসহ বিভিন্ন নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে এসব ব্যাংকের উদ্যোক্তারা।

রেমিটেন্সে প্রণোদনার সুফল : অর্থনীতির অন্যান্য সূচক নেতিবাচক হলেও সুবাতাস বইছে প্রবাসী আয়ে। রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা এবং টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে বৈধ পথে বেড়েছে রেমিটেন্সের প্রবাহ। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রেমিটেন্স এসেছে ৭৭১ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৬২৯ কোটি ডলার।

সর্বশেষ - অর্থ ও বাণিজ্য