বৈঠা বেয়ে স্কুলে এলো তারা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

চারদিকে শুধু বন্যার পানি। এ অবস্থায় যাতায়াতের একমাত্র বাহন হয়ে উঠেছে নৌকা। নৌকায় করে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর বিদ্যালয় খুললেও এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন বন্যাকবলিত টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈদামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৩৮ সালে স্থাপিত হয় সৈদামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১১ জন। এর মধ্যে বালক ১০৩ ও বালিকা ১০৮ জন। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন।

বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র রাব্বি বলে, ‘অনেকদিন স্কুলে আসি নাই। আজ স্কুল খুলছে তাই সকালেই নৌকায় আমরা ছয়জন ছাত্র স্কুলে আসছি। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষকদের দেখে আমার খুব ভালো লাগছে।’

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সেজুতি সরকার বলে, ‘বিদ্যালয়ে এসে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। দীর্ঘদিন পর শিক্ষক আর বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা হলো। আমিও নৌকা নিয়ে বিদ্যালয়ে এসেছি।’

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির গণিত শিক্ষক মনির খান ইমন বলেন, বন্যা পরিস্থিতিতে নৌকাই এখন স্কুলে যাওয়ার একমাত্র বাহন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরাও নৌকায় করে স্কুলে আসছে। কষ্ট আর ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অনেকদিন পর শিক্ষার্থীদের পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভীন সুলতানা খান বলেন, বিদ্যালয় খোলার প্রথমদিনে আমরা তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়েছি। প্রথমদিনে পঞ্চম শ্রেণিতে ৪১ জনের মধ্যে ২৮ জন আর তৃতীয় শ্রেণিতে ৪১ জনের মধ্যে ৩২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

বাসাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সদানন্দ পাল বলেন, উপজেলার ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একযোগে পাঠদান শুরু হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার রাশড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি থাকার কারণে পাশের বাড়িতে পাঠদান করানো হয়েছে। বাকি বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রমে তেমন কোনো সমস্যা নেই বলে জানান তিনি।

সূত্র: জাগো নিউজ