বেঙ্গালুরুতে ৩ জনকে গুলি করে হত্যার পর কারফিউ জারি

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার উসকানি দিয়ে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে ভারতের বেঙ্গালুরুর পূর্বাঞ্চলে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে অন্তত ১৪৫ জনকে। সংঘর্ষের ঘটনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় কারফিউ জারি করে পুলিশ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার কামাল পান্ত শহরের ডিজে হাল্লি ও কেজি হাল্লি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এ কারফিউ বলবৎ থাকবে।

এদিকে মঙ্গলবার শুরু হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসাভারাজ বোম্বাই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর এমন অনুসন্ধানের কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

কংগ্রেসের একজন এমএলএর এক স্বজন ফেসবুকে এই পোস্ট দিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতের প্রতিবাদে পাথর নিক্ষেপ, পুলিশের ওপর হামলা ও সহিংতার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়ির পাশে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক মাধ্যমে অবমাননামূলক মন্তব্যের দায়ে তার ভাইয়ের ছেলে নবীনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলশ।

যদিও ফেসবুকে দেয়া পোস্টটি মুছে দিয়েছেন তিনি। তার দাবি, অ্যাকাউন্ট হ্যাকড হয়েছিল।

সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই) খবরে বলা হয়, মহানবীকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দেয়ায় শ্রীনিবাস মূর্তির বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়েছে।

হামলা ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে টুইটারে পোস্ট দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েডুরাপ্পা। লোকজনকে আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা দীনেশ গুনডু রাও।