রাজশাহীসহ সারাদেশে বৃষ্টি পড়বে কালও, বাড়বে শীতের তীব্রতা

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে আগামীকালও (বুধবার)। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে শীতের তীব্রতা বাড়বে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সারা দেশে মেঘ-বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও কুয়াশা ছিল। বুধবার পর্যন্ত সারা দেশের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বুধবারের পর মেঘ কেটে গেলে শীতের তীব্রতা বাড়বে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যেটি রেকর্ড করা হয় কক্সবাজারের টেকনাফে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত তিন দফা বয়ে গেছে শৈত্যপ্রবাহ।  গত ২০ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা ছিল চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন।

বড় কোনো এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। আর তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন কাগজে কলমে শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে উত্তরে হাওয়া বেশি থাকায় ও কুয়াশার দাপটে শীতের অনুভূতি থাকে বেশি রাতে ও সকালে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর