বুয়েটের ৪ শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারের আদেশ হাইকোর্টের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ৪ শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তাদের এই শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

আজ বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে জারি করা একাধিক রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

চার শিক্ষার্থী হলেন- মির্জা মোহাম্মদ গালিব, সব্যসাচী দাস দিব্য, সৌমিত্র লাহিড়ী ও মোবাস্বির।  এই চার শিক্ষার্থী রায় প্রকাশের পর এক সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে পারবেন না।

রায়ে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত আরও ৩১ শিক্ষার্থী বুয়েটের হলে থাকতে পারবেন না বলেও আদেশ দেন আদালত। তবে তারা হলের বাইরে নিজ দায়িত্বে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বুয়েটে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের শাস্তি আরোপে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে যায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ। আপিল বিভাগ হাইকোর্টকে এ সংক্রান্ত রুল ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট আজ (বুধবার) রুল নিষ্পত্তি করেন।

রিট আবেদন থেকে জানা গেছে, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে বুয়েটের বেশকিছু শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়।  পরে ওই বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করেন। আপিলে তা খারিজ হয়। পরে এই শাস্তির বৈধতা নিয়ে পৃথক রিট আবেদন করেন ৩৫ শিক্ষার্থী।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

 

সূত্রঃ যুগান্তর