বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ : বাবর আজমকে যে নির্দেশ দিলেন আদালত

যখন তিনি তারকা হয়ে ওঠেননি, তখন থেকেই একজন তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল পাকিস্তানের হাল আমলের সুপারস্টার বাবর আজমের। সেই প্রেম গড়ায় শারিরীক সম্পর্কে। তরুণীর পেটে বাচ্চা আসে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকাকে গর্ভপাতে বাধ্য করেন বাবর। এরপর তিনি ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় তারকা। তাকে তুলনা করা হয় বিরাট কোহলির সঙ্গে। তিন সংস্করণের ক্রিকেটে এখন তিনি অধিনায়ক। কিন্তু তারকা হওয়ার পরেই নাকি পুরনো প্রেমিকাকে ভুলে গেছেন বাবর!

সম্প্রতি বাবরের সেই প্রেমিকার এমন অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মারাত্মক। আদালতে যদি তা প্রমাণ হয় তাহলে বাবরের ক্যারিয়ার তো শেষ হবেই, উপরন্তু কঠিন শাস্তিও পেতে হবে তাকে। এই মুহূর্তে দল নিয়ে নিউজিল্যান্ড সফরে আছেন বাবর। এর মধ্যেই লাহোরের আদালতে ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাবর ও তাঁর পরিবারকে আদালত আজ নির্দেশ দিয়েছেন যাতে অভিযোগকারী নারীকে কোনোভাবে হয়রানি না করা হয়।

গত সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন করে বাবরের সেই প্রেমিকা অভিযোগ করেছিলেন যে, বাবর ক্রিকেটে পরিচিতি পাওয়ার আগে দুজনের ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন বাবর। এরপর তার গর্ভে বাচ্চা এলে সেটিও গর্ভপাত করাতে বাধ্য করেন। প্রমাণ হিসেবে সেসবের চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্রও দিয়েছেন অভিযোগকারী নারী। এর আগে পাকিস্তানের নাসেরাবাদ পুলিশ স্টেশনে বাবরের বিরুদ্ধে এফআইআর করাতে গেলে তখনো বাবর তাকে আবার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এফআইআর ফিরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন।

এরপর ক্রিকেটে অর্থ-খ্যাতি আসার পর বাবর তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। বাবর যখন ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তখন সেই নারী আবারও থানায় গিয়েছিলেন অভিযোগ করতে। কিন্তু তখন থানায় তার অভিযোগ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ওই নারী। তার আরও দাবি যে, বাবর এবং তিনি সহপাঠী ছিলেন। ২০১০ সালে বাবর তাঁকে বলেছিলেন যে ২০১১ সালে তারা কোর্টে রেজিস্ট্রেশন করে বিয়ে করবেন। কিন্তু ২০১২ যুব বিশ্বকাপে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে তারকা হয়ে ওঠা বাবর তাকে ভুলে যান।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ