সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
যে কোনো কাজ বিসমিল্লাহ বলে আমরা শুরু করে থাকি এ শিক্ষাই আমাদের দেয়া হয়েছে। পবিত্র কুরআন পাঠের শুরুতে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলেই পাঠ করতে হয় এবং কুরআনে তা-ই বর্ণিত।
যেসব ক্ষেত্রে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ লেখা মাসনূন বা মুস্তাহাব সেসব ক্ষেত্রে অনেকেই ‘৭৮৬’ লিখে থাকে। আবজাদের হিসেবে এটা ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’-এর অক্ষরগুলোর সংখ্যামানের সমষ্টি।
কারো কারো ধারণা আছে যে, এই সংখ্যাগুলো লিখলে বা উচ্চারণ করলে ‘বিসমিল্লাহ’ লেখার বা বলার কাজ হয়ে যায়। এটা একটা ভুল ধারণা।
মুখে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পাঠ করে যদি এই অংকগুলো লেখা হয় তাহলে সেটা ‘বিসমিল্লাহ’র চিহ্ন গণ্য করা যেতে পারে। কিন্তু সরাসরি এই অংকটাকেই বিসমিল্লাহর বিকল্প মনে করা সম্পূর্ণ ভুল।
কাজেই যে বা যারা ‘বিসমিল্লাহ’র বিকল্প হিসেবে ‘৭৮৬’ ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং এটাকেই বরকতময় ভাবেন; তাদের উচিত এটা ত্যাগ করে সম্পূর্ণরূপে ‘বিসমিল্লাহ’ ব্যবহার করা। ‘বিসমিল্লাহ’র বিকল্প হিসেবে ‘৭৮৬’ সংখ্যার ব্যবহারে ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ ও লেখার সওয়াব তো অর্জিত হবেই না, এ দিয়ে সুন্নতও আদায় হবে না। ‘বিসমিল্লাহ’র সংখ্যামান ‘৭৮৬’ হলেও নয়। (আহসানুল ফতোয়া)
বলাবাহুল্য যে, একটি ‘সুন্নতে মুতাওয়ারাছা’ যা সর্বযুগের ওলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার ব্যক্তিদের মধ্যে অনুসৃত ছিল তা বাদ দিয়ে শুধু আবজাদী অংক লেখা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
সূত্র: যুগান্তর