সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
গত বছর নিজের স্ত্রীকে সাপের বিষ দিয়ে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন এক ব্যক্তি। বার্তা সংস্থা ইনডিপেনডেন্ট জানাচ্ছে, সুরজ নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি তিন মাসের ব্যবধানে দুইবার তাঁর স্ত্রীকে বিষাক্ত সাপ দ্বারা কামড়ে হত্যা করেন। এই সাপ দুটি তিনি এক সাপুড়ের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন।
প্রথমবার ২০২০ সালের মার্চ মাসে এক অনুষ্ঠানে তাঁর স্ত্রী উথরাকে একটি ভাইপার কামড় দেয় নিজ বাড়িতে। সে ঘটনায় তিনি ৫২ দিন শয্যাশায়ী ছিলেন এবং তাঁর ক্ষতস্থান প্লাস্টিক সার্জারিও করতে হয়।
মে মাসে ঘরে ফেরেন উথরা। আর এবার তিনি এক বিষাক্ত কোবরার হামলার শিকার হন। এবার আর বাঁচতে পারেননি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট বলে, সাপের কামড়েই মৃত্যু হয় ওই নারীর। নিহতের পরিবার সন্দেহ করে ওই নারীর সঙ্গে অন্যায় কিছু হতে পারে। তাই তাঁরা পুলিশে অভিযোগ দাখিল করে। এর আগে ওই নারী তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যৌতুকের জন্য হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।
যদিও সুরজকে যৌতুক হিসেবে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার প্রদান করা হয়েছিল তবুও পুলিশের সন্দেহ ছিল- সুরজ সন্তুষ্ট ছিলেন না। এবং এই অসন্তুষ্টির কারণেই তিনি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে থাকতে পারেন।
এর পর সুরজকে আটক করা হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে হত্যার অবিযোগ আনা হয়।
নিজের স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে সুরজ। জানায়, প্রথমে স্ত্রীকে তিনি ঘুমের ওষুধ খাওয়ান ও পরে তাঁর শরীরে একটি বিষাক্ত কোবরা ছেড়ে দেন।
পুলিশ অবাক হয়ে লক্ষ করে, পুলিশের কাছে বক্তব্য দেওয়া ও বিচার চলাকালীন কখনোই তাঁকে অপরাধবোধে ভুগতে দেখা যায়নি।
তদন্ত দলটির মুখপাত্র পুলিশ সুপার এস হরিশংকর বলেন, আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি যে সুরজ একজন ঘাগু অপরাধী। তাঁর কোনো অপরাধবোধ নেই। আমাদের উপস্থাপন করা তথ্য-প্রমাণ ব্যতীত আর কিছুই তিনি নিজে থেকে আমাদের বলেননি। এবং সে খুব হিসেব করে তাঁর বিবৃতি দিয়েছে।
আগামীকাল ১৩ অক্টোবর সুরজের মামলার রায় প্রদান করা হবে। তাঁর মা এবং বোনের বিরুদ্ধেও পারিবারিক সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সূত্র : স্টাফ