বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১৩ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

ক্ষুধামুক্তির লড়াইয়ে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছর ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক বা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে (জিএইচআই)’ ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম। ২০১৯ সালে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম। ফলে এক বছরে ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের ১৩ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে।

তার আগের তিন বছর (২০১৮, ২০১৭ ও ২০১৬) বাংলাদেশের অবস্থান ছিল যথাক্রমে- ৮৬, ৮৮ ও ৯০ নাম্বারে।

ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের শুক্রবার প্রকাশিত চলতি বছরের ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে’ এসব তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে’ সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে ইউরোপের দেশ বেলারুশ। আর তালিকার সবশেষ দেশটি হচ্ছে আফ্রিকার চাদ।

যে চারটি মাপকাঠিতে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক’ তৈরি করা হয় সেগুলো হচ্ছে- অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কম উচ্চতার শিশুর হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার। বাংলাদেশ এ চারটি মাপকাঠিতেই গতবারের তুলনায় এগিয়েছে।

বাংলাদেশের মোট স্কোর গত বছর ছিল ২৫.৮। এ বছর তা কমে হয়েছে ২০.৪। ১৯৯০ সালে স্কোর ছিল ৫২.২, ১৯৯৫ সালে ছিল ৫০.৩, ২০০০ সালে ছিল ৩৬.১, ২০০৫ সালে ছিল ৩০.৭, ২০১০ সালে ছিল ৩০.৩, ২০১৫ সালে ছিল ২৭.৩, ২০১৬ সালে ছিল ২৭.১, ২০১৭ সালে ছিল ২৬.৫, ২০১৮ সালে স্কোর ছিল ২৬.১।

ক্ষুধার সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলংকা। আর সবচেয়ে পিছিয়ে আছে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশ এখনও নেপাল ও শ্রীলংকার চেয়ে পিছিয়ে আছে। তবে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর