সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ ও দুই পক্ষকে এক করতে সরকার সমঝোতা সভার আহবান করেছিল। বৈঠকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নিলেও মাওলানা জুবায়েরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হননি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে তাবলিগের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণ হলেও কোন পক্ষ কোন পর্বে ইজতেমা করবে, তা নিশ্চিত হয়নি।
এই অবস্থায় অনুপস্থিতির কারণ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। একই সঙ্গে বুধবার সরকারের সঙ্গে তারা বসতে চায় বলেও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
বৈঠকে অনুপস্থিতির বিষয়ে আলমি শুরা বা জুবায়েরপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান যুগান্তরকে বলেন, সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমাদের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ বৈঠকে অংশ নিতে অপারগতার কথা আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়েছি।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের আহলে শুরা মাওলানা ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে বলা হয়, বর্তমানে আমাদের উল্লেখযোগ্য মুরুব্বিরা পাকিস্থানের লাহোরের রাইবেন্ডে ইজতেমায় রয়েছেন। তাই অল্প সময়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্তমান দারুল উলুম দেওবন্দসহ প্রায় সব আলেমরা মাওলানা সা’দ সাহেবের অনুসারীদের ‘না হক’ দল সাব্যস্ত করেছেন। এ অবস্থায় সহঅবস্থানে বসে বৈঠক করা সমীচিন নয় বলে মনে করেন তারা।
একইদিনে সময়ের ব্যবধানে পৃথক পৃথক সভার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
ইজতেমা নির্বিঘ্ন করতে তাবলিগের দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের কথা ছিল। তবে বৈঠকে মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নিলেও মাওলানা জুবায়েরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না। তা ছাড়া কোন পক্ষ আগে ও কোন পক্ষ পরে ইজতেমা করবে তাও এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্র: যুগান্তর