বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় রাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. রঞ্জিত


রাবি প্রতিনিধি:বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সাইটেক স্ট্র্যাটেজিজ কর্পোরেশন ও নেদারল্যান্ডসের প্রকাশনা সংস্থা এল্সেভিয়ার-এর তিনজন গবেষক প্রকাশিত বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানান হয়।

জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিশ্বসেরা এই বিজ্ঞানীদের তালিকা PLos Biology জার্নালে প্রকাশ হয়। এই তালিকায় গবেষণা প্রকাশনার উদ্ধৃতি সংখ্যার ভিত্তিতে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার বিজ্ঞানী স্থান লাভ করেছেন। সংশ্লিষ্ট গবেষণায় বিজ্ঞানের ২২টি শাখার ১৭৬টি উপশাখায় এই বিজ্ঞানীদের বিভক্ত করা হয়েছে। এই তালিকার ধাতববিদ্যা ও খনিবিদ্যা উপশাখার সেরা ২৭ হাজার ৫৬৮ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে রাবির ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগ থেকে সম্প্রতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস ২৮৪তম স্থান অধিকার করেছেন।

অধ্যাপক রঞ্জিত কুমারের এই অর্জনের জন্য রাবি ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় অধ্যাপক রঞ্জিতের এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গৌরবের এবং তা অন্য গবেষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

অধ্যাপক রঞ্জিত কুমার বিশ্বাস রাবির রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও ফলিত রসায়নে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি অর্জন করেন। ১৯৮০ সালে ধাতববিদ্যা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। একই বছরে তিনি রাবির ফলিত রসায়ন বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন ও ১৯৯৩ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। এরপর তিনি ২০১৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিষয়ে সিনিয়র প্রফেসর হিসেবে কর্মরত। দেশ-বিদেশের শতাধিক জার্নালে তাঁর গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ প্রকাশ হয়েছে। তিনি ১১টি পিএইচডি ও ৩৪টি মাস্টার্স পর্যায়ের গবেষণা তত্ত্বাবধান এবং ৩টি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন।

অধ্যাপক রঞ্জিত বাংলাদেশ কেমিক্যাল সোসাইটি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য। তিনি ২০১০ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন পুরস্কার অর্জন করেন।

স/আ.মি