বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে সিদ্ধান্ত আজ

বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানা যাবে আজ মঙ্গলবার। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে উপাচার্যদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে এ ব্যাপারে আজ জানানো হবে।

করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে এলে আগামী ১৩ জুন স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে টিকা ছাড়া অন্য কোনা উপায়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যায় কি না, সে ব্যাপারে ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে সভা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। গতকাল সোমবার বিকেলে সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কভিডসংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর গত রাতে  বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে জানানো হবে।’

সভা সূত্রে জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় খোলার মত দিয়েছেন মন্ত্রণালয় ও কভিড সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে বলে জানান উপাচার্যরা। তবে সরাসরি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতি মাস থেকেই পরীক্ষাগুলো শুরু করা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের চাপ অনেকটাই কমবে বলে মত দিয়েছেন কয়েকজন উপাচার্য।

জানা যায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় তিন লাখ। এর মধ্যে আবাসিক হলে থাকেন এক লাখ ৩০ হাজার। তাঁদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চায় মন্ত্রণালয়। আগামী দিনে চীন বা অন্য যেকোনো জায়গা থেকে টিকা আসুক না কেন, শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা দেওয়া হবে।

তবে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। এর মধ্যে ৩৭ লাখই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থী; যাঁদের বেশির ভাগেরই আবার আবাসিক হলে থাকার সুযোগ নেই। ফলে মাত্র এক লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য উচ্চশিক্ষার সব শিক্ষার্থীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত আছে। শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। ভবিষ্যতে তাঁরা কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ইউজিসি থেকে সরাসরি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পরও তাতে সন্তুষ্ট হননি শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে অটল আছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, গণপরিবহন, রেস্তোরাঁ, মার্কেট—সবই খোলা। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানা হচ্ছে না। অথচ প্রায় ১৫ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষা খাত বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন। সেশনজট বেড়েছে। সব কিছু খোলা থাকলে স্বাস্থবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বাধা কোথায়?

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ