সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
বিশ্বনেতাদের আমন্ত্রণ জানানো অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ। দেশটিতে সফরের কারণে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির ওপর চীনা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণার মধ্যেই জোসেফ এ কথা জানালেন।
তাইওয়ান সফরের জন্য ন্যান্সি পেলোসিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জোসেফ উ। তিনি বলেছেন, ন্যান্সি পেলোসির মতো নেতাদের তাইওয়ান সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এতে তাইওয়ানের সুনাম বৃদ্ধি পায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটা অনুধবান করতে পারে যে তাইওয়ান একটি গণতান্ত্রিক দেশ।
পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের নৌমহড়ারও নিন্দা জানান তিনি। জোসেফ বলেছেন, চীনের প্রতিক্রিয়ার মুখে গণতান্ত্রিক রাজনীতিবিদদের আমন্ত্রণ জানানো থামাবে না তাইওয়ান।
তিনি আরো বলেন, চীনের আগ্রাসী আচরণ এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। তাদের কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে।
জোসেফ বলেন, চীন কী করছে সে ব্যাপারে এই অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর রাখা উচিত। তাইওয়ান স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চায়। নিজস্ব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াসহ একটি স্বশাসিত দ্বীপ হিসেবে এটি বজায় থাকবে।
তিনি আরো বলেন, চীন দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে চাই। চীনের মূল ভূখণ্ডের ওপর তাইওয়ানের কোনও এখতিয়ার নেই এবং তাইওয়ানের ওপরও চীনের কোনও এখতিয়ার নেই। এটাই বাস্তবতা।
তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়ার সময় চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়াকে ‘অযৌক্তিক বাড়াবাড়ি’ অভিহিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। অন্যদিকে তাইওয়ান সফরের কারণে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।
পেলোসির সফরের পর চীন-যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপড়েন আরো তীব্র হয়েছে গতকাল শুক্রবার। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সামরিক নেতাদের মধ্যকার সংলাপ তারা বাতিল করছে।
এ ছাড়া জলবায়ু ও সামুদ্রিক সুরক্ষার ওপর দ্বিপক্ষীয় আলোচনাও স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ
