বিশেষ পরিকল্পনায় বসছে সংসদের বাজেট অধিবেশন

সংসদ সদস্যদের সীমিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ১০ জুন থেকে আসন্ন বাজেট অধিবেশনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অধিবেশনে যোগ দেয়া সংসদ সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার পাশাপাশি নানা বিধি বিধান প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া, অধিবেশনে যোগ দেয়ার ক্ষেত্রে বয়স্ক ও অসুস্থদের নিরুৎসাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন সংসদের চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী। তবে, সব সংসদ সদস্যের করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।

সারাদেশে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছুঁই ছুঁই। ইতোমধ্যে তিন জন সংসদ সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি অধিবেশনে এমপিদের সীমিত অংশগ্রহণ, পরীক্ষা করা এবং বয়স্ক ও অসুস্থদের যোগ দিতে নিরুৎসাহিত করাসহ নানা ধরনের কঠোরতার মধ্যদিয়ে আসন্ন বাজেট অধিবেশনের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। অধিবেশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়া কারো সংসদ ভবনে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না। স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে এবার থাকবে না কোনো আমন্ত্রিত অতিথিও। জাতীয় সংসদের হুইপ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এমপি বলেন, সব সুরক্ষা করেই হবে। সকল ধরনের পরীক্ষা করে সংসদে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করা হবে।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইফ নুর ই আলম চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি সবই মেনে চলা হবে। সকল সংসদ সদস্যের করোনা টেস্ট সম্ভব নয়।

১০ জুন থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনটিতে ১১ জুন বেলা তিনটায় ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেট পেশ এবং ৩০ জুন বাজেট পাশের মধ্যদিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সবমিলিয়ে দশ থেকে বারো কর্ম দিবসের মধ্যেই শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান চিফ হুইপ নুর ই আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, বাজেটে সবাইতো একদিনে আলোচনা করেন না। কার কোন দিন আলোচনা ঠিক করে ফেলে বক্তা নির্বাচন করা হবে। কোরামে বেশি লোক আমাদের দরকার নাই।

এর আগে সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষায় গত ১৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনও নিরাপদ দূরত্বে আসন গ্রহণসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি নানা বিধি বিধান প্রয়োগ করা হয়।

 

সুত্রঃ সময়