বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন একঝাঁক তারকা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: আগামী ২৭ মার্চ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার মোট আট দফায় রাজ্যের ২৯৪টি আসনে ভোট নেওয়া শুরু হবে। নির্বাচনকে ঘিরে টলিউড তারকাদের দলবদল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে গতকাল শুক্রবার পাহাড়ের তিনটি আসন বাদে ২৯১ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে ক্ষমতাশীল দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে নতুন করে ১১ ‘তারকা’ প্রার্থীকে ময়দানে নামালেন মমতা ব্যানার্জি। যাদের মধ্যে অধিকাংশই রূপালি পর্দার। সঙ্গেই রয়েছেন একজন সদ্য সাবেক ক্রিকেটার ও এক সাবেক ফুটবলার। বাদ পড়েছেন এক তারকা ও এক ফুটবলার।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, তারা দলের ‘ইয়ং ফেইস’ অর্থাৎ, তরুণ মুখ। এ তারকারা ‘দিদি’র বার্তাবাহক হয়ে তৃণমূলের কথা পৌঁছে দেবেন মানুষের কাছে।

শুক্রবারের ঘোষণায় ১১ প্রার্থী হলেন, রাজ চক্রবর্তী (ব্যারাকপুর), সায়নী ঘোষ (আসানসোল দক্ষিণ), জুন মালিয়া (মেদিনীপুর), সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (বাঁকুড়া), কাঞ্চন মল্লিক (উত্তরপাড়া), মনোজ তিওয়ারি (শিবপুর), বীরবাহা হাঁসদা (ঝাড়গ্রাম), অদিতি মুন্সি (রাজারহাট গোপালপুর), কৌশানী মুখোপাধ্যায় (কৃষ্ণনগর উত্তর), লাভলি মৈত্র (সোনারপুর দক্ষিণ) ও বিদেশ বসু (উলুবেড়িয়া পূর্ব)। তাদের মধ্যে মনোজ প্রাক্তন ক্রিকেটার। তিনি পশ্চিমবঙ্গের অধিনায়কত্বও করেছেন। আর রয়েছেন সাবেক ফুটবলার বিদেশ বসু। যিনি ভারতের হয়ে খেলেছেন।

সব মিলিয়ে শুক্রবার মোট ১৫ জন তারকা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। ১১ জন নতুন প্রার্থী ছাড়া রয়েছেন সোহম চক্রবর্তী (চণ্ডীপুর), ইন্দ্রনীল সেন (চন্দননগর), চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী (বারাসত) ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় (চৌরঙ্গি)। কিন্তু রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায় এবং বসিরহাটের বিধায়ক সাবেক ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসকে টিকিট দেওয়া হয়নি। টোটো তহবিল সংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে দেবশ্রী আগেই রায়দিঘি কেন্দ্র ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তবে তাকে যে অন্য কোনো কেন্দ্র না দিয়ে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হবে, তা বোঝা যায়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, তারকাদের যে আসনগুলো দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে এগিয়ে-পিছিয়ে থাকার অনুপাত প্রায় সমান। ওই ১১টি আসনের মধ্যে ছয়টিতে পিছিয়েছিল তৃণমূল, এগিয়েছিল বাকিগুলোতে। তৃণমূলের একাংশের অভিমত, পিছিয়ে-থাকা আসনে তারকাদের দাঁড় করিয়ে ‘নিরাপদ বাজি’ খেলতে চেয়েছেন মমতা। অর্থাৎ পিছিয়ে-থাকা আসনগুলোতে তারকারা যদি জিতিয়ে দিতে পারেন, তা হবে শাসক শিবিরের বাড়তি পাওনা। না জিততে পারলেও আফসোসের কিছু থাকবে না।