মঙ্গলবার , ১ মার্চ ২০২২ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেশি কম্পানি নিয়ে কাজ করতে হবে

Paris
মার্চ ১, ২০২২ ১০:০৫ পূর্বাহ্ণ

দেশীয় প্রকল্পে এককভাবে বিদেশি কম্পানিকে কাজ দেওয়া বন্ধ করতে চায় সরকার। সরকারের ইচ্ছা, বাংলাদেশের প্রকল্পে আন্তর্জাতিক দরদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করুক। কারণ গত কয়েক বছরে অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে দেশীয় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছে। এ জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ সংশোধন করার কাজ চলছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় এ বিষয়ে সুপারিশ করার জন্য আন্ত মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি এর মধ্যে ১১টি সুপারিশও করেছে। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার কমিটির প্রধান। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিলে তা বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশীয় সরবরাহকারী ও ঠিকাদারদের কাছ থেকে পণ্য বা কার্যপত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক দরপত্র পরিহার করতে হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের দরপত্রে অংশগ্রহণের সুযোগটি শুধু দেশীয় দরদাতাদের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে।

কমিটি বলেছে, ক্রয়ের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে আন্তর্জাতিক দরদাতাকে বাধ্যতামূলকভাবে দেশীয় দরদাতাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে।

ক্রয়ের ক্ষেত্রে দেশীয় দরদাতাদের অংশগ্রহণ ও সক্ষমতা বাড়াতে  প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়ের ২০ শতাংশ মূল্যসীমা পর্যন্ত কাজ সহঠিকাদারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে।

কমিটি তাদের সুপারিশে আরো বলেছে, অভ্যন্তরীণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে দাপ্তরিক ব্যয় প্রাক্কলন দরপত্রে প্রকাশ করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী লিখেছেন, ‘দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় দরপত্র আহ্বানের আগে প্রকাশ করা হলে প্রকৃত অর্থে দরপত্রে কোনো আর্থিক প্রতিযোগিতা থাকবে কি না, এটি বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। ’

সূত্র মতে, আন্ত মন্ত্রণালয় কমিটি যে ১১টি সুপারিশ দিয়েছে, তার তিনটির বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

আন্ত মন্ত্রণালয় কমিটি ৫০ কোটি টাকার বেশি অভ্যন্তরীণ কাজ ক্রয়ে আবশ্যিকভাবে এক ধাপ, দুই খাম পদ্ধতি প্রয়োগের বিধান করার সুপারিশ করেছে। এই সুপারিশের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে মন্ত্রী বলেছেন, সরকারি সব সংস্থার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সব সময় অনুসরণ করা সম্ভব না-ও হতে পারে। আর এতে দরদাতারা স্বাধীনভাবে দর প্রস্তাবে নিরুৎসাহ হবে এবং সরকারের আর্থিক সাশ্রয়ের সুযোগ হাতছাড়া হবে।

কমিটি দরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি প্রস্তাবে ৮০ শতাংশ এবং আর্থিক প্রস্তাবে ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তাঁর পর্যবেক্ষণ হলো, ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে কাজ ‘এক ধাপ, দুই খাম’ পদ্ধতিতে মূল্যায়নে কমিটির দেওয়া নম্বর নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে।

যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের মানতে হবে। তবে আমার পর্যবেক্ষণ আমি দিয়েছি। পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছি। কমিটি অনুরোধ না রাখলে কিছু করার নেই। ’

এ বিষয়ে কথা বলতে আন্ত মন্ত্রণালয় কমিটির সভাপতি এবং অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

প্রাথমিকভাবে অর্থমন্ত্রী আন্ত মন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের পক্ষে মত দিয়েছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, ‘যেসব জায়গায় বিদেশিদের না নিলেও হয়, যেখানে নিজেরাই কাজ করতে পারি, সেখানে দেশি কম্পানিগুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হবে। সে জন্য আমরা একটি কমিটি করেছিলাম। তাঁরা অনেক কাজ করেছেন। আমরা সবার কথা শুনেছি, এটাকে আগামী সভায় চূড়ান্ত করব। ’

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - জাতীয়