সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিদেশি প্রভুদের অর্থ হালাল করতে টিআইবি (ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ) সংসদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অহেতুক পানি ঘোলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘টিআইবি বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি করছে। অসত্য তথ্য পেশ করে সংসদ সদস্যদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে অসম্মান করা হয়েছে।’

ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে চিফ হুইপ বলেন, ‘দেশের ১৬ কোটি জনগণের অনেক সমস্যা বিদ্যমান। সে সব সমস্যা নিয়ে গবেষণা না করে, কোন সংসদ সদস্য কতবার অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছে, তা গণনা করা একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে পারে না।’ চিফ হুইপ দেশের জনগণের সমস্যা সমাধানে যুক্তি ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন।

টিআইবির সঙ্গে সরকারের প্রতি বিএনপি-জামাতের অন্ধ বিরোধিতার মিল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব বড় অর্জনগুলো রাজনীতিবিদদের হাত ধরেই এসেছে। যারা জাতিকে সম্মানিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের অসম্মানিত করা কোনও মহলেরই উচিত নয়।’
টিআইবি সব সময় অহেতুক উদ্দেশ্যমূলক ও নেতিবাচক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের হেয় প্রতিপন্ন করার অভিপ্রায়ে কাজ করে থাকে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে আ স ম ফিরোজ জনগণ সম্পর্কে কথা বলতে চাইলে তাদের নির্বাচন করে সংসদে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

কোরাম সংকট নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না

চিফ হুইপ তার বক্তব্যে সংসদে কমবেশি ‘কোরাম সংকট’ থাকার বিষয়টি প্রকারান্তরে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সংসদের কার্যপ্রণালী বিধিতে কোরাম সংকটের বিষয়ে যে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, আমরা তা অনুসরণ করার চেষ্টা করছি। কোরাম সংসদের বিষয়, হুইপরা  যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক সময় অধিকরাত পর্যন্ত সংকট চলে। কোরাম সংকট হতে পারে। তবে আমরা হুইপরা এমপিদের ডেকে এনে সংকট যাতে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করি। এক্ষেত্রে কিছুটা কোরাম সংকট থাকলেও তা নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। আর কোরাম সংসদের কারণে অর্থ অপচয়ের যে হিসাব টিআইবি দিয়েছে, তা কল্পনাপ্রসূত ও মনগড়া। তারা সংসদ সচিবালয়ের সমস্ত খরচকে সংসদ পরিচালনার খরচ হিসাবে দেখিয়েছে।’

আন্তর্জাতিক চুক্তির ব্যাপারে কখনও সংসদে আলোচনা হয়নি

বিদেশের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়ে টিআইবির প্রতিবেদনের জবাবে চিফ হুইপ বলেন, ‘কোনও দেশের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাজ। সংবিধান অনুযায়ী চুক্তি হলে সরকার তা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবে এবং রাষ্ট্রপতি তা সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করবেন। সঙ্গত কারণেই চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কখনোই সংসদে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এবারের ভারত সফরের পূর্ব পর্যন্ত ওই দেশের সঙ্গে ৮৭টি চুক্তি  ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। বিভিন্ন মেয়দে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সরকারের সময়ও চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে কখনোই চুক্তিসংক্রান্ত বিষয়ে সংসদে আলোচনা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে হুইপ শহীদুজ্জামান সরকার ও ইকবালুর রহিম উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন