বিদায়ী ভাষণে একবারও বাইডেনের নাম নেননি ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। ইতোমধ্যে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নেয়া হয়েছে সব প্রস্তুতিও। এদিকে, এতদিন ধরে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ আনলেও শেষ পর্যন্ত জনগণকে বাইডেন প্রশাসনের জন্য ‘প্রার্থনা’ করতে বলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর রীতি অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে নতুন প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছাও জানাননি ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দেয়া বিদায়ী বক্তব্যে জো বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি ট্রাম্প। এমনকি তাকে ওভাল অফিসে চায়ের নিমন্ত্রণও করেননি। এতদিন ধরে বিদায়ী প্রেসিডেন্টদের সবাই এই রীতি মেনে এসেছেন।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ করার পাশাপাশি আমরা একসঙ্গে যা অর্জন করেছি তাতে সত্যিই গর্বিত। এ সপ্তাহে একটি নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে এবং নতুন প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ ও সমৃদ্ধ রাখবে এই প্রার্থনা করছি। আমার শুভকামনা রইল।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমেরিকান জনগণের প্রার্থনা ও সমর্থনে আমরা যতটা সম্ভব ভেবেছি তার চেয়ে বেশি অর্জন করেছি। কেউ ভাবেনি আমরা এতটা সফল হব।’

নিজের অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরে ঘরে আমেরিকান শক্তি এবং বিদেশে আমেরিকান নেতৃত্ব পুনরুদ্ধার করেছি। আমরা বিশ্বের ইতিহাসে বৃহত্তম অর্থনীতি নির্মাণ করেছি। আমরা আমাদের জোটকে পুনরুজ্জীবিত করেছি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চীনের সামনে দাঁড়াতে সমবেত করেছি, যা এর আগে কখনও হয়নি।’

‘আমাদের সাহসী কূটনীতি এবং নীতিগত বাস্তবতার ফলস্বরূপ, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে একাধিক ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি অর্জন করেছি। এটি একটি নতুন মধ্য প্রাচ্যের উদয় এবং আমরা আমাদের সৈন্যদের ফিরিয়ে এনেছি।’

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এ দশকে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসাবে বিশেষ গর্বিত যে কিনা কোনো নতুন যুদ্ধ শুরু করেনি।’

‘বুধবার দুপুরে আমি যখন নতুন প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি, আমি জানাতে চাই যে আন্দোলন আমরা শুরু করেছি তা কেবলমাত্র সূচনা হলো।’

এদিকে, বাইডেনের শপথকে কেন্দ্র করে হোয়াইট হাউসের বাইরে ওয়াশিংটন শহরে নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে জনসাধারণের উপস্থিতিতে রাখা হয়েছে কড়াকড়ি। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবেন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা।

নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণকে ঘিরে গত ৬ জানুয়ারির মতো ওয়াশিংটনে উগ্র ডানপন্থী হামলার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এজন্য মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর সশস্ত্র সদস্যদের। নিরাপত্তা বিবেচনায় ‘সবুজ’ ও ‘লাল’ এই দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে বিভিন্ন এলাকাকে।

মার্কিন আর্মি সেক্রেটারি রায়ান ম্যাকার্থি বলেছেন, ওয়াশিংটনের বেশিরভাগ রাস্তা এবং মেট্রো স্টেশনগুলোর পাশাপাশি জাতীয় উদ্যান হিসেবে পরিচিত ন্যাশনাল মল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভার্জিনিয়া রাজ্য থেকে শহরে প্রবেশের সেতুগুলোও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ