বিটিভির নাটকে জিনজিরা প্রাসাদের নির্মম নির্বাসনের ইতিহাস

নাট্যকার-অভিনেতা ও নির্দেশক মামুনুর রশীদের কলমে এবার উঠে আসছে ঢাকার অষ্টাদশ শতাব্দীর ইতিহাস। বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) জন্য তিনি রচনা করেছেন ‘জিন্দাবাহার’ নামে দীর্ঘ একটি ধারাবাহিক নাটক। প্রযোজনা ও পরিচালনায় রয়েছেন ফজলে আজিম জুয়েল। ইতোমধ্যে প্রথম লটের শুটিংও শেষ হয়েছে।

খুব শিগগিরই বিটিভিতে প্রচার শুরু হবে নাটকটির। ধারাবাহিকটিতে একসঙ্গে দেখা মিলবে জনপ্রিয় সব তারকাদের। অভিনয় করেছেন মামুনুর রশীদ, আজাদ আবুল কালাম, আহমেদ রুবেল, অনন্ত হীরা, শতাব্দী ওয়াদুদ, শাহ আলম দুলাল, সমু চৌধুরী, শামীম ভিস্তি, শ্যামল জাকারিয়া, আলিফ চৌধুরী, সাদমান প্রত্যয়, রোজী সিদ্দিকী, নাজনীন চুমকি, শর্মীমালা, নাইরুজ সিফাত, নিকিতা নন্দিনীসহ আরো অনেকে।

নাটকের কাহিনি এ রকম  ১৭৫৮ সাল। মেঘনার নদী বক্ষ থেকে একটি বজরা নৌকা সশস্ত্র প্রহরী সহ চাঁদপুর ঘাটে এসে ভেড়ে। গন্তব্য ঢাকার জিনজিরা প্রাসাদ। নৌকার আরোহীরা হচ্ছেন নিহত নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার স্ত্রী লুৎফা, কন্যা উম্মে জোহরা, খালা ঘসেটি বেগম, মাতা আমেনা বেগম। স্বল্প বিরতির পর পাল তোলা বজরায় আবার ঢাকা অভিমুখে যাত্রা।

এখান থেকেই শুরু অষ্টাদশ শতাব্দীর সময়কালীন ঢাকার আখ্যান ‘জিন্দাবাহার’। একদা সুবে বাংলার রাজধানী ঢাকা এখন পরিত্যক্ত। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি মুর্শিদাবাদ জয় করার পর ঢাকার ইংরেজ কুঠি আবার সরব হতে থাকে। বিখ্যাত মসলিন প্রস্তুতকারীদের ঢাকায় তখন উজ্জ্বল সময় চলছিল। নবাব পরিবারের সদস্যদের জিনজিরা প্রাসাদে নির্মম নির্বাসনে কাটছে দিন, তার সাথে বেড়ে উঠছে আবার এক ইংরেজের ঢাকা। এই নিয়েই  মূলত তৈরি হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘জিন্দাবাহার’।

নির্মাতা ফজলে আজিম জুয়েল বলেন, ‘অষ্টাদশ শতাব্দীর ঢাকা নিয়ে এ দেশের টেলিভিশন কেন্দ্রে তেমন কোনো কাজ হয়নি। ঐ সময়ের ঘটনাপ্রবাহ আমাদের অজানা। সেইসব অজানা চরিত্র নায়েবে নাজিম, নগর কোতোয়াল, কুঠি প্রধান, ক্যাপ্টেন, আর্মেনিয়ান, বৃটিশ, ফরাসি, পর্তুগীজ, ডাচ, কাশ্মীর, দিল্লী থেকে আগত আমির-ওমরাদের বংশধর, মসলিন প্রস্তুতকারী, ঢাকার সর্দার, ব্যবসায়ী এইসব চরিত্রকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘জিন্দাবাহার’। আমরা মূলত এই নাটকে দেখাতে চাই, দিল্লি থেকে কীভাবে ঢাকার শাসনকার্য পরিচালিত হতো। এমন গল্পে বাংলাদেশে আগে  কখনো নাটক নির্মিত হয়নি। আড়াইশো বছর আগে ঢাকা কেমন ছিল, এ ধারাবাহিকটির মাধ্যমে দর্শকরা তা জানতে পারবেন।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ