বিটিভিতে বায়ান্ন উৎসব

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

দেশের প্রথম দৃশ্যমান ও শ্রুতিনির্ভর গণমাধ্যম হিসেবে ১৯৬৪ সালের এই দিনে (২৫ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠিত হয় বর্তমান বাংলাদেশ টেলিভিশন তথা বিটিভি’র।

তৎকালীন ঢাকা শহরের ডিআইটি ভবনের নিচতলায় এনইসি (নিপ্পন ইলেকট্রিক কোম্পানি) জাপানের সহায়তায় যাত্রা শুরু হওয়া এই টেলিভিশনের প্রথম নাম ছিলো পাকিস্তান টেলিভিশন। স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে এটির নাম বাংলাদেশ টেলিভিশন করে সরকারি গণমাধ্যমে রূপান্তরিত করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে আধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত করে ১৯৭৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ডিআইটির ক্ষুদ্র পরিসর থেকে রামপুরার বৃহত্তর পরিমন্ডলে টেলিভিশন কেন্দ্রটি স্থানান্তর করা হয়। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে গঠিত হয় বিটিভির ১৪টি উপকেন্দ্র।
১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি নতুন পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপিত হয়। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় শহরগুলোতে বিটিভির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র চালু করার কাজ এখন প্রক্রিয়াধীন।
দেশের সীমানা পেরিয়ে ২০০৪ সালের ২১ এপ্রিল থেকে পৃথক চ্যানেলে বিটিভি ওয়ার্ল্ড এবং ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর থেকে বিটিভির অনুষ্ঠানমালা ২৪ ঘণ্টা স্যাটেলাইট সম্প্রচার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫২ বছর পূর্তি উৎসবে আজ (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রচার হয়েছে তথ্যচিত্র ‘ডিআইটি থেকে রামপুরা’।
জন্মদিনে বিটিভি ভবনে উপস্থাপকদের আনন্দদিনটি উদযাপনের জন্য ঢাকার রামপুরায় বিটিভির সদর দফতরে সকাল ১০টা থেকে চলেছে দুই ঘণ্টার প্রীতি সম্মিলনী। এখানে দেশের বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয় সরাসরি।
বিটিভির মহাপরিচালক এস.এম. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বিটিভি বিশ্বে বাংলা ভাষার প্রথম টেলিভিশন চ্যানেল। ১৯৬৪ সাল থেকে অদ্যবধি বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান পরিকল্পনা, নির্মাণ, মঞ্চসজ্জা ও সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। প্রতিযোগিতার এ যুগে অসংখ্য স্যাটেলাইট চ্যানেলের ভিড়ে বিটিভি এখনও স্বতন্ত্র। আগামীতেও সেটি অব্যাহত থাকবে।’

সূত্র ; বাংলাট্রিবিউন