বিজেএস পরীক্ষায় দেশসেরা রাবির চার শিক্ষার্থী

রাবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৪তম সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চার শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজেএস পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়।

এতে ১০২ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন রাবির আইন বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সুমাইয়া নাসরিন শামা, দ্বিতীয় জান্নাতুন নাঈম মিতু ও চতুর্থ হয়েছেন ইশরাত জাহান আশা। প্রত্যেকেই রাবিতে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। এছাড়াও ৫ম হয়েছেন এক‌ই বিভাগের ৩৭ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিয়া খাতুন। তবে ঠিক কত জন বিজেএস পরীক্ষায় রাবি থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেটা এখনো জানা যায়নি।

প্রথম হওয়া সুমাইয়ার গ্রামের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামে। সেখানকার হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে রাবিতে আইন বিভাগে ভর্তি হন।

মেধায় দ্বিতীয় হওয়া জান্নাতুন নাইম মিতুর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়ন-শুকা এলাকার মো. নাইমুল ইসলাম ও নাহিদা খাতুন দম্পতির মেয়ে। নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে মাধ্যমিক (এসএসসি) ও রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস করেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় মিতু। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক পদের দায়িত্বে আছেন।

বিজেএস পরীক্ষায় সফলতার বিষয়ে প্রথম হ‌ওয়া সুমাইয়া নাসরিন শামা বলেন, আমার এই ফলাফলের পেছনে বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। বিভাগে আমাদেরকে পাঠ্যব‌ইগুলো অনেক ভালো করে পড়ানো হয় আর জুডিশিয়ারি পরীক্ষায় একাডেমিকভাবে যা পড়ানো হয় অধিকাংশই সেখান থেকে আসে।

তিনি আর‌ও বলেন, ডিপার্টমেন্টের পড়াশোনায় এখানে একটা ভালো ভূমিকা রেখেছে। বিজেএস সার্কুলার দেওয়ার পর পুনরায় কোর্সগুলো ভালোভাবে পড়ি। তবে ভাবিনি প্রথম হবো।

শিক্ষার্থীদের এমন সফলতার বিষয়ে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, আজকের দিনটি আমাদের আইন বিভাগের জন্য এক আনন্দ ও গর্বের দিন। তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে জাতির সামনে তুলে ধরেছেন। একজন শিক্ষক হিসেবে, এটা আমাদের কাছে এক বড় ধরনের অর্জন।

জি/আর