রবিবার , ১৪ জুলাই ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট : প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে বাটপাররা বিসিএস চাকরিতে যাবে এটা মানা যায় না

Paris
জুলাই ১৪, ২০২৪ ১১:০২ অপরাহ্ণ

 

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

আদালত বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আমাদের জন্য কষ্টের। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুবিধা নিয়ে ক্রিমিনাল/বাটপাররা বিসিএসের মতো চাকরিতে চলে যাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। এতে প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হয়।

রোববার এ সংক্রান্ত এক রিট মামলার শুনানিকালে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, বিসিএসের মতো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কেন বারবার ফাঁস হবে, এটাই উদ্বেগের। পিএসসিতে যারা আছেন তারা কেন প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করতে পারছেন না। যদি না পারেন তাহলে এরা দায়িত্ব পালনে অযোগ্য।

সম্প্রতি বিসিএসের মতো পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সারডা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মুরাদ ভুঁইয়া।

তিনি আদালতে বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন করতে হবে। ২৪ থেকে ৪৫তম বিসিএসের পরীক্ষায় আবেদ আলী কর্তৃক প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুবিধা নিয়ে যারা বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে এই তালিকা প্রকাশ করতে হবে।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, তালিকা কীভাবে খুঁজে বের করবেন? রিটকারী বলেন, আবেদ আলী ও তার গংরা এই তালিকার বিষয়টি জানেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুজ্জামান বলেন, বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। আবেদ আলী অনেকের নামও বলেছেন।

হাইকোর্ট বলেন, বেনজীরের মতো এতটা পাওয়ারফুল নয় আবেদ আলী। তবে ফাঁস করা প্রশ্ন যাদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে এবং যারা এর পেছনে রয়েছেন তারা পাওয়ারফুল। তদন্ত সংস্থা কি তাদের গ্রেপ্তারের ক্ষমতা রাখে? যদি গ্রেপ্তারের ক্ষমতা না থাকে তাহলে সেভাবেই আদেশ দেওয়া হবে।

হাইকোর্ট বলেন, বেনজীর দেশের বাইরে গেছেন। নিশ্চয়ই কোনো না কোন চ্যানেলে তিনি বাইরে গেছেন। আমরা শুনেছি বিমানবন্দর দিয়ে তিনি দেশের বাইরে গেছেন। বেনজীরকে চেনে না এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তা নেই, তাহলে তিনি কীভাবে দেশের বাইরে গেলেন?

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনি দেশের বাইরে গিয়েছেন কি না, সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।

হাইকোর্ট বলেন, ব্যাংকে এক লক্ষ টাকার জন্য গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আর বেনজীর কোটি কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, একটা পাবলিক পরীক্ষায় ৫ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৫/২০ হাজার পাস করে। এদের মধ্য থেকে ২ হাজার মৌখিক পরীক্ষায় যায়। অতএব রিটকারী যে ‘মেধা শূন্যে’র কথা তুলছেন সেটা ঠিক নয়।

হাইকোর্ট বলেন, প্রশ্ন পেলে পাস করা সহজ হয়ে যায়। এটা কেন মানছেন না? আর যারা দুর্নীতির আশ্রয় নেয় তারা ভাইবা বোর্ডে গিয়েও দুর্নীতি করে।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট এক সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবির আদেশ দেন। এ সময়ের মধ্যে রিটের বিষয়বস্তুর উপর সরকারের অবস্থান কী তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে বলা হয়।

সর্বশেষ - আইন আদালত