শুক্রবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

‘বিচারের আগে ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই’

Paris
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৪ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘বিচারের আগে ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তিতে উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ফ্যাসিবাদী পরাজিত শক্তিকে বিভিন্নভাবে পুনর্বাসনের কর্মসূচি দেখা গেছে। আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকার মনে করি বিচারের আগ পর্যন্ত, সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনের আর কোনো সুযোগ নেই।

সম্পূর্ণ বিচার না হওয়া পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীদের রাজনীতি স্থগিত থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

দল হিসেবে কীভাবে আওয়ামী লীগের বিচার করা হবে, জানতে চাইলে আসিফ মাহমুদ বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিচারের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় দেখছে। খুব দ্রুতই সবার সামনে সুস্পষ্ট রূপরেখা উত্থাপন করা হবে।

আওয়ামী লীগ কার্যক্রম চালাতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ নেবে। যেহেতু একটি গণহত্যা দেশে আওয়ামী লীগ ঘটিয়েছে।

এই গণহত্যার দায় নিয়ে কারা কীভাবে ফিরবে বা তাদের ফিরতে দেওয়া হবে কিনা তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।

সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘সব দায় এড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচ নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেছেন। তবে কোনো দায় নেননি। পদত্যাগের কারণও বলেননি।

শুধু ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির’ কথা উল্লেখ করেছেন। নিজেদের দায়িত্ব পালনকালে নানা আইনি সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি সৃষ্ট পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন পদ্ধতির ওপর দায় চাপিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পদত্যাগের ঠিক আগ মুহূর্তে প্রেস ব্রিফিং করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

‘সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়’ করার জন্য ডাকা এ ব্রিফিংয়ে তিনি ভবিষ্যতের সুষ্ঠু ভোটের জন্য সংবিধান থেকে বাদ পড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে বিদায়ী সিইসি বলেন, ‘গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। ওই ভোট ছিল দলের ভেতরে, দলের মধ্যে হয়নি।’

তবে এই নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও অতীতের মতো ব্যাপক বিতর্কিত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

কমিশনের এমন পদত্যাগকে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ডামি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের পাশাপাশি এই নির্বাচন কমিশনও দায়ী।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘জনরোষে ভারতে পালিয়েছেন হাসিনা, তার চুপ থাকা উচিত’।

প্রতিবেদনে মূলত প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

ড. ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ না করা পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে শান্ত থাকতে হবে। ভারতে থেকে তার রাজনৈতিক বিবৃতি দেয়া ‘অবন্ধুসুলভ আচরণ’।

“শেখ হাসিনা ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। তবে তাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ অনুরোধ না করা পর্যন্ত দিল্লি যদি হাসিনাকে নিজের দেশে রাখে তাহলে অবশ্যই হাসিনাকে সেখানে চুপ থাকতে হবে”।

“এমন নয় যে তিনি স্বাভাবিক পথেই সেখানে গেছেন। জনগণের অভ্যুত্থান এবং জনরোষের কারণে তিনি পালিয়ে গেছেন।” উল্লেখ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার পিটিআইকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, ভারতে সেখানে কেউ তার (শেখ হাসিনা) অবস্থানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না কারণ আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে চাই। তিনি ভারতে আছেন এবং মাঝে মাঝে কথা বলছেন, যা সমস্যার সৃষ্টি করছে।

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি যে ধরনের নৃশংসতা করেছেন, তাকে এখানে সবার সামনে বিচার করতে হবে। তার নৃশংসতার বিচারের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।’

হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকে ভারত যেভাবে সবাইকে ইসলামপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করছে দিল্লিকে তা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত হামলার সাম্প্রতিক ঘটনা এবং ভারতের এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের ব্যাপারে ইউনূস বলেন, এটা একটা অজুহাত মাত্র।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, হাসিনা সরকারের পতনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এখন তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে দেয়া এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য শিক্ষার্থীদের বিপ্লব, দেয়ালচিত্র অঙ্কন, দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয় পাহারা দেয়া, সারাদেশে ট্রাফিক পরিচালনাসহ নানা দিক তুলে ধরেন।

তবে এবারে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ফেরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেননা বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।”

জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা তাদের প্রথম কাজ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সেইসাথে দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, রাজনীতিবিদ ও আমলারা যে পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে তা দেশে ফিরিয়ে আনার কথাও তিনি জানান।

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘শহীদি মার্চ থেকে বিচারের প্রত্যয়’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই মিছিলে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ অংশ নেন।

এ সময় ছাত্র-জনতা স্লোগানে স্লোগানে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার দাবি করেন। তারা বৈষম্যমুক্ত দেশ গঠনের দাবি এবং ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও নানা স্লোগান দেন।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্য থেকে মার্চটি শুরু হয়ে ঢাকার নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, ধানমণ্ডি, সংসদ ভবন, ফার্মগেট, শাহবাগ, টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।

কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ৫ দফা দাবি পেশ করা হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।

দাবিগুলো হলো- ১. গণহত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ২. শহীদ পরিবারদের আর্থিক ও আইনি সহযোগিতা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

৩. প্রশাসনে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টদের দোসরদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে ৪. গণভবনকে জুলাই স্মৃতি যাদুঘর ঘোষণা করতে হবে। ৫. রাষ্ট্র পুনর্গঠনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করতে হবে।

ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘গণভবন হবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্প‌তিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হ‌য়।

বৈঠক শে‌ষে সন্ধ্যায় রাজধানীর ফ‌রেন সা‌র্ভিস একা‌ডে‌মি‌তে সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমাদের গণভবন, গণ মানুষের ভবন হয়ে উঠতে পারেনি। গণভবনকে যেহেতু দেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জয় করেছে, এটিকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

আসিফ মাহমুদ বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি, শহীদদের স্মৃতি এবং বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে যত অন্যায়-অবিচার হয়েছে, সব স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন দাবি নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভে ওষুধশিল্পে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে।

বিক্ষোভের জের ধরে বৃহস্পতিবারও অন্তত ২৫টি বড় কারখানায় ওষুধ উৎপাদন বন্ধ ছিল।

দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে বাজারে ওষুধের সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখন পর্যন্ত ওষুধের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।

এদিকে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্‌টা ফার্মাসিউটিক্যালসসহ বেশ কয়েকটি ওষুধ কারখানা আজ শুক্রবার থেকে উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।

যদিও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসসহ আরও কয়েকটি কারখানা কবে খুলবে, সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা এখনো কাটেনি।

জানতে চাইলে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির (বিএপিআই) সভাপতি আবদুল মোক্তাদির বলেন, পুরো ওষুধ খাতের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।

অনেক কারখানার উদ্যোক্তা ও কর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি কাজ করছে। সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ওষুধ খাতের সমস্যারও সমাধান হবে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়