রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিফলনই হচ্ছে শিক্ষক নির্যাতন’

রাবি প্রতিনিধি:

শিক্ষক নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের দাঁড়াতে হচ্ছে এটা শিক্ষক হিসেবে খুবই লজ্জাজনক। বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিফলনই হচ্ছে শিক্ষক নির্যাতন। আমরা ছাত্রদের নৈতিক শিক্ষা দিতে পারি না। কারণ দেশের ভিতটা দাঁড়িয়ে আছে নৈতিকতা বিবর্জিত অবস্থায়। একটা দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র না থাকলে এমন অরাজকতা হওয়াই স্বাভাবিক।

মঙ্গলবার (৫জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কুদরত ই জাহান এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী শিক্ষক হয়রানি, নির্যাতন ও‌ হত্যার প্রতিবাদে তার এ কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে শিক্ষক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবি তোলা হয়। একইসঙ্গে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ অধিক করার দাবিও তোলা হয়।

কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, দেশ আজকে হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। ঐ সিনেমায় দেখানো হয়েছিল, একটা দেশকে ধ্বংস করতে চাইলে, সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে হয়। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন ধ্বংসের মুখে। এ পরিস্থিতি থেকে শীঘ্রই পরিত্রাণ পেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসমার সাথে যে শিক্ষার্থী অশোভন আচরণ করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। দেশে আজ অপরাধীর শাস্তি হওয়ার পরিবর্তে নিরপরাধীর শাস্তি হয়।

এসময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, সমাজটা পঁচে গেছে, এ কারণে সমাজে শিক্ষকরাও হত্যা থেকে রেহায় পাচ্ছে না। পদ্মা সেতুতে টিকটক করা, প্রস্রাব করা, এগুলো অসুস্থ মানসিকতার কাজ। এগুলো সমাজ পঁচে যাওয়ার লক্ষণ। সরকারের প্রহসনে সমাজ পঁচে যাচ্ছে। যার দরুন ছাত্ররাও শিক্ষকদের উপর চড়াও হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় হলো গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা।

মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান খান মুক্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অধ্যাপক ইমামুল হক সানজিদ, অধ্যাপক হাছানাত আলী, অধ্যাপক আব্দুল আলীম, অধ্যাপক সারোয়ার জাহান লিটন প্রমূখ।

জি/আর