‘বিগ থ্রি’ থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান চান না পিসিবি প্রধান

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান এহসান মানির দাবি, আইসিসিতে ‘রাজনীতি চালু করেছে’ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। এজন্য আইসিসির পরবর্তী চেয়ারম্যান হিসেবে ‘বিগ থ্রি’ থেকে কাউকে চান না পিসিবি প্রধান। তার মতে, এ তিন দেশের বাইরের বোর্ড থেকে কোনো প্রতিনিধি আইসিসি চেয়ারম্যান হলে ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।

পহেলা জুলাই থেকে আইসিসির চেয়ারম্যান পদ খালি। টানা দুই মেয়াদে মোট চার বছর আইসিসি চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব পালন করে পদত্যাগ করেন শশাঙ্ক মনোহার। অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থাটির ডেপুটি চেয়ারম্যান ইমরান খাজা। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে বা সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করা উচিত কিনা সে বিষয়ে আইসিসি বোর্ড এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।

ফোবার্স ম্যাগাজিনে মানি বলেন, ‘এখনও আইসিসি সিদ্ধান্ত না নেওয়া দুঃখজনক। ২০১৪ সালে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড নিজেদের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য ‘‘রাজনীতি চালু করেছিল।’’ এখন তারা ভয় পাচ্ছে। এ মুহূর্তে তাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসছে না। ‘‘বিগ থ্রি’’র বাইরে কাউকে আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়া হবে ভালো সিদ্ধান্ত।’

২০০৩-০৬ পর্যন্ত আইসিসির চেয়ারম্যান ছিলেন মানি। তবে এবার চেয়ারম্যান পদে বসার ইচ্ছে নেই তার। ‘এবার আমার আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার ইচ্ছে নেই। অনেক বোর্ড পরিচালক আমাকে নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিল। আমি তাদের জানিয়েছি, এ মুহূর্তে পাকিস্তানের হয়ে কাজ করার ইচ্ছে আমার। আইসিসিতে আগে কাজ করেছি।’ – যোগ করেন মানি।

আইসিসি চেয়ারম্যান পদে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভসের নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে। বিসিসিআইয়ের সৌরভ গাঙ্গুলিরও ইচ্ছে আছে আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার। এছাড়া আরো দুইটি নামও এসেছে। একটি নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে ও অন্যটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেভ ক্যামেরুন।

এছাড়া আইসিসির আর্থিক মডেল নিয়েও সমালোচনা করেছেন পিসিবি প্রধান। মানি বলেন, ‘বিসিসিআই এবং ইসিবি ১৩৯ মিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্থ আইসিসি থেকে পেয়ে থাকে। সময় এসেছে আর্থিক মডেল সংস্কারের। আইসিসি তাদের জন্য হোস্টিং ফি বাদেও গেট মানি, হসপিটালিটি ফি দিয়ে থাকে।’