বুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য লাশ উত্তোলন

Paris
অক্টোবর ১৬, ২০২৪ ২:১৭ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও আলোচিত বিএনপি নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে সৃষ্ট ধুম্রজাল কাটাতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সাভার উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম রাসেল ইসলাম নূর উপস্থিতিতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর জালালাবাদ এলাকায় অবস্থিত জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদরাসার কবরস্থান থেকে তার মরদেহটি তোলা হচ্ছে। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরীর রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিতের জন্য কবর থেকে লাশ তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দেন।

আদালতে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ কবর থেকে উত্তোলন করে তার পরিচয় প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করানো, পরিচয়ের ইতিবাচক ফলাফল, মৃত্যুর সনদ পাওয়া, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ থেকে তার নাম মুছে ফেলা এবং তাকে নিজ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন করার আবেদন করেন তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী।

বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী ১/১১ এর পর থেকে তার বাবার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর পুনঃ তদন্ত দাবি করে বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি একজন বুদ্ধিজীবী ও চিন্তাবিদ ছিলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাকে হত্যা মামলায় ফাঁসিয়ে মিথ্যা চার্জশিট দিয়ে তার সঙ্গে চরম অন্যায় করে হয়েছে।’ তাই মামলাটির পুনঃতদন্ত করে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করার দাবি জানান তিনি।

সামিরা বলেন, ‘গত ১৫ বছর ধরে আমার বাবার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা তাই লেখা হয়েছে। এখানে যাকে প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা হয়েছিল তিনিই হারিছ চৌধুরী। বিগত স্বৈরাচার সরকার তাকে গ্রামে নিয়ে দাফন করতে দেয়নি। বাধ্য হয়ে করোনার সময় সাভারের এই মাদরাসায় বাবাকে কবর দেওয়া হয়।পরবর্তীতে বাবার মৃত্যু সনদ চেয়ে আবেদন করা হলেও স্বৈরাচার সরকার আমাদের কথা শুনেনি। আপনারা এবার সত্যটা তুলে ধরুন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য সামাদ মিয়া বলেন, ‘আমরা জানি প্রফেসর মাহমুদুর রহমানকে এখানে দাফন করা হয়েছে। হারিছ চৌধুরী নামে কাউকে দাফনের বিষয়টি আমরা জানতাম না।’

স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী হারিছ চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের দাবি জানাচ্ছি।’
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন, ‘প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে এখানে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী এমন দাবির প্রেক্ষিতে তার মেয়ের করা এক রিটের ভিত্তিতে হারিছ চৌধুরীর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্টের জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।’

সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম রাসেল ইসলাম নূর বলেন, ‘হারিছ চৌধুরীর মেয়ের করা একটি রিটে হাইকোর্টের নির্দেশে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরে পরিচয় নিশ্চিতদের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। হারিছ চৌধুরীর মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানিয়ে দাফন করা হবে।’

২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বরের আছরের নামাজের পর প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা অনুদানের মাধ্যমে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদরাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী দাবি করেন যে এটি তার বাবা হারিছ চৌধুরীর লাশ।সূত্র: কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ - অপরাধ ও দুর্নীতি