বিএনপি উচ্চ পর্যায়ের অসাম্প্রদায়িক দল : মির্জা আব্বাস

বিএনপি অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের অসাম্প্রদায়িক দল বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত উচ্চ মানসিকতার একজন নেত্রী। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একদিন রাতে হঠাৎ আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। জানতে চাইলেন আব্বাস কি করছেন? আমি বললাম ম্যাডাম ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি আমাকে বললেন ঘুমালে তো চলবে না। আপনি কিছু শোনেননি? আমি বললাম না ম্যাডাম। তিনি বললেন ভারতে বাবরি মসজিদ ভাঙা হচ্ছে। আপনি যান আপনার এলাকার মন্দিরগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। তিনি তখন খুব সুন্দরভাবে আমাদের দেশের মুসলমানদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন।

আজ শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বহু পন্থা অবলম্বন করেছে সরকার। খুন করেছে, গুম করেছে। আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের দিয়ে জেলখানা ভরে ফেলেছে। কোর্টে গেলে আমাদের লোক ছাড়া কাউকে দেখা যায় না। দেশে কোনো বিচার ব্যবস্থা নাই। আছে শুধু পুলিশ, আছে শুধু কোর্ট। আর এগুলো দিয়েই সরকার টিকে আছে।

তিনি বলেন, আমাদের সময় বাংলাদেশে ৫০ হাজার পুলিশ ছিল। এখন বাংলাদেশে ৫ লাখ পুলিশ। এই যে বিশাল পুলিশবাহিনী কাকে পেটানোর জন্য? যদি ডাকাত ধরা না যায়, ব্যাংক লুটেরাদের ধরা না যায়, যদি চোর ধরা না যায়, যদি খুনি ধরা না যায়, যদি পূজামণ্ডপ ভাঙার লোক ধরা না যায় তাহলে এ পুলিশের কাজ কি? বিএনপিকে ঠেকানো? এটা বোধহয় বেশিদিন আর চলবে না।

তিনি আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত মানের চিকিৎসা দরকার। কিন্তু এই সরকার সেটা তো দিবে না। তিলে তিলে তাকে মেরে ফেলা সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যই মাত্র ২ কোটি টাকার একটি মিথ্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দেশবাসী জানে ট্রাস্টের টাকা ট্রাস্টেই আছে। সেই দুই কোটি টাকা ব্যাংকে এখন ৮ কোটি টাকা হয়ে গেছে। সেই টাকার তিনি নিজেও খাননি ও বিদেশেও পাচার করেননি।

মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবেক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী প্রমুখ।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ