বুধবার , ২৫ মার্চ ২০২০ | ১৪ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাড়ি ফেরার আনন্দ কাল না হয়!

Paris
মার্চ ২৫, ২০২০ ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নোভেল করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম সড়কপথে গণপরিবহন, নৌপথে লঞ্চ এবং রেলপথে মেইল ও লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা করেছে সরকার। এতে প্রায় ১০ দিনের বেশি ছুটি। সেই ছুটি উৎসবের রূপ নিয়েছে।

১০ দিনের ছুটি। যে ছুটি ঈদেও পাওয়া যায়না। এই সময়টি লস (লোকসান) করতে চাচ্ছেন না সবাই। তাই  পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে ছুটি আসছেন হাজার হাজার মানুষ। বাড়িতে মানুষগুলো গণপরিবহন ও রেলপথে যাত্রা করেছেন। একটি বাসটিতে বাড়ি ফিরেছেন একজন মানুষ, তাতে কমপক্ষে ৫০ জন ছিলো। আর ট্রেনের যাত্রীর গণনার বাইরে। এদের মধ্যে যদি মাত্রা কয়েকজন করোনা ভাইরাসের জীবানু বহন করে থেকে তাহলে এর বিস্তারের বেশি সময় লাগার কথা না। তাই গণসমাগমে নিরুউৎসাহিত করা হচ্ছে চিকিৎসক ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

তাহলে বন্ধ হতে সময় লাগাটা কি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে না এমন প্রশ্ন থেকেই যায় । যদি ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নিতে দেরি কেনো ? বন্ধ বা লকডাউন যাই হোক। তা দ্রুত কার্যকর করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়- রাজশাহী নগরীর ভদ্রা, শিরোইল এলাকায় ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে। অনেককে বাসের ছাদে করে আসতে দেখা গেছে। একটি বাসের ছাদে যখন যাত্রী চড়বে। তখন বলতে আর বাকি থাকে না, বাসটির ভেতরে কত মানুষ আছে।

ট্রেনের চিত্রও একই। ট্রেনের প্রতিটি বহি ভর্তি। ঢাকা থেকে আসার পথে। ঢাকা ফেরত ট্রেন দেখলে মনে হবে ঈদের চাঁদ রাত। অর্থাৎ ঈদের আগের দিন। তাই নাড়ির টানের বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে স্টেশন পাড়ায়। তাই হাজারে হাজারের মানুষ বাড়ি ফিরছেন। এমন চিত্র বাস্তব সবক্ষণে।

আর সচেতনার বিষয়ে বলতে গেলে, রেডিও-টিভি ও সংবাদ মাধ্যমগুলো প্রতিনিয়তই বললে করোনা ভাইরাস নিয়ে। করোনা ভাইরাসের আপডেট তথ্য দিচ্ছে সবসময়। এতে করে মানুষের মধ্যে বিন্দু মাত্র সচেতনা আসে নি ? এসেছে বেশির ভাগেরই মাঝে। যদি তাই না হতো- তাহলে অফিসগুলোতে হ্যাড স্যানিটাজার রাখা, পানি রাখা, হাতে হ্যাড গ্লাফ পড়া, মাস্ক পড়া এগুলো এমনিতে হতো না। প্রচারের মাধ্যমেই হয়েছে। বেড়েছে সচেতনও।

যে মানুষগুলো গায়ে বাতাস লাগিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটছেন তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। তারা যেনো করোনা নামের এই মহামারি ভাইরাসটি ছড়াতে না পাড়ে সেই বিষয়টি যথাযথভাবে ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে। এছাড়া প্রাবাসীরা যারা হোম কোয়ারিন্টিন মানছেন না। তাদের আর কি বলার। তারাই বা বিদেশে কোন ভয়ে আইন মানে। তাদের প্রতি সেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যাতে করে তারা মাত্র ১৪ দিনের হোম কোয়ারিন্টিনে থাকবেন।

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর