বাড়িতে আপনি একমাত্র করোনা নেগেটিভ? করণীয় কী?

বাড়িতে আপনি আর আপনার স্বামী থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার স্বামী যদি করোনা পজিটিভি হয় আপনি কী করবেন? কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখবেন? সে বিষয়েই আলোচনা করা হবে।

বিশ্ব জুড়ে করোনা আবার চরম মাত্রা ধারণ করেছে। রোগটি কতটা সংক্রামক সে বিষয়ে আমাদের আগে জানা উচিত।

ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে লক্ষণ দেখা দেওয়ার দু একদিন আগেই মানুষ আক্রান্ত হয়। এর দুই তিনদিন পর থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে।

এমন যদি হয় পরিবারের যাদের সাথে বসবাস করছেন তাদের সবার করোনা পজিটিভ আর আপনার নেগেটিভ তাহলে কী করবেন? পজিটিভকালীন পুরো সময় আপনার নিজেকে সতর্ক থাকা উচিত  এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।

পরিবারের অন্য সদস্যরা যখন করোনা পজিটিভ তখন আপনার উচিত তাদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে  সমর্থন করা। তবে মনে রাখবেন যে আপনাকে তাদের সংস্পর্শে আসা বা তাদের ঘনিষ্ঠ হওয়া, তাদের স্পর্শ করা বা স্পর্শ করা জিনিসগুলোর সংস্পর্শে আসা এড়াতে হবে।

করোনা পজিটিভ বাড়িতে নিজেকে যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন:

১. আপনি তাদের আইসোলেটেড থাকার জন্য একটি ঘর বেছে দিতে পারেন এবং  বাথরুম ব্যবহার করা ছাড়া তাদের বাইরে যাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই আলাদা ঘরে থাকবেন।

২. বাসায় দুইটা বাথরুম থাকলে তাহলে সেগুলোর একটিকে অসুস্থ ব্যক্তিকে ব্যবহার করতে দিন এবং অন্য কাউকে এটি ব্যবহার করতে দেবেন না। তবে যদি দুটি বাথরুম না থাকে, তাহলে আপনি একটি বায়ুচলাচল ফ্যান চালু করতে পারেন এবং প্রতিবার ওয়াশরুমে যাওয়ার আগে জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে নিন। এছাড়া মগ, বালতি আলাদা রাখুন।

৩. আপনি একটি বড় ট্রেতে করে তাদের খাবার, পানি বন্ধ দরজার বাইরে রেখে দিয়ে চলে আসুন।

৪. আপনার জামাকাপড় আলাদা রাখুন এবং অসুস্থ রোগীর জামাকাপড়ের সাথে যেনো মিশে না যায় সে বিষয়ে খেয়াল রাখুন।

৫.  আপনার প্রিয় মানুষটি যে করোনা পজিটিভ তিনি বেশিরভাগ সময় দরজা বন্ধ করে নিজের ঘরে থাকে,  সেক্ষেত্রে বাড়ির অন্যান্য অংশে জানালাগুলি সামান্য খোলা রাখুন।

৬. প্রযুক্তি ব্যবহার করুন। পাশের ঘরে কারও সাথে একটি টেক্সট বার্তা বা ভিডিও কল বা ভয়েস কল পাঠানো যৌক্তিক মনে না হলেও, এটি অসুস্থ ব্যক্তিকে মানসিকভাবে সমর্থন দেবে।

৭.  বাড়িতে করোনা পজিটিভ মানুষ থাকলে আপনি সামাজিক সমাবেশ এবং যথাসম্ভব বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

৮. সংক্রামিত পরিবারের সদস্য ১০ দিনের আইসোলেশন পূর্ণ করার পর আপনারও টেস্ট করানো উচিত। ইতিবাচক হলে, আপনাকেও নিজেকে আলাদা করতে হবে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে এবং আপনার নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

প্রত্যেকের উচিত সতর্কতা অবলম্বন করা এবং সুরক্ষিত থাকা। লক্ষণ দেখা দিলেই সাথে সাথে টেস্ট করুন যাতে চিকিৎসা দ্রুত শুরু করা সম্ভব হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ