বাসভাড়া বাড়ানোকে ‘অমানবিক’ বললো ১৪ দল

বর্ধিত বাসভাড়া অমানবিক। ডিজেলের মূল্য হঠাৎ করে ১৫ টাকা বাড়ানো উচিত হয়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ১৪ দলের এক সভায় এ মতামত উঠে আসে। জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠক হয়। এতে আলোচনায় সাম্প্রতিককালে দেশের নানা ঘটনা উঠে আসে। সমাধানে প্রস্তাবনাও দেওয়া হয়।

আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসসহ ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা সাম্প্রতিককালের ঘটনা আলোচনা করেছি। যেমন- সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা আজ সারাদেশে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, একটি সম্প্রদায়কে সামনে রেখে এ ঘটনাটি যদিও ঘটিয়েছে, কিন্তু মূলত যারা ঘটিয়েছে তারা দেশের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি নষ্ট ও দেশে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ঘটিয়েছে। আমরা মনে করি, এটার তদন্তসাপেক্ষে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। আইনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যবস্থাও নেওয়া প্রয়োজন। তাদের রাজনীতি করা উচিত কি না, এটাও ভেবে দেখা দরকার।

দ্বিতীয়ত, বাসভাড়া বৃদ্ধি অমানবিক হয়েছে। অত্যন্ত বেশি বাড়ানো হয়েছে। আমরা জানি অধিকাংশ বাস সিএনজিচালিত, যেখানে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়নি, সেখানে কেন বাসভাড়া বাড়ানো হলো, এর যৌক্তিকতা আমরা খুঁজে পাই না। হয় এই সিএনজিচালিত বাসব্যবস্থা বাদ দিতে হবে, সবাইকে তেলে আনতে হবে। না হয় বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফেরাতে হবে। জনগণের পক্ষ থেকে কমিটি যেটা আছে, তারা বসে এই ভাড়া নির্ধারণের দাবি জানাই।

১৪ দলের এই নেতা বলেন, আমাদের দেশে সরবরাহের ঘাটতি নেই, উৎপাদনে ঘাটতি নেই, তারপরও অহেতুক দফায় দফায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে- এদিকেও দৃষ্টি দেওয়া উচিত। কী কারণে হঠাৎ করে এভাবে মূল্যবৃদ্ধি করা হয়? কেন জনগণ দুর্দশার শিকার হচ্ছে? কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উচিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি সুরাহা করা। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে মূল্য নির্ধারণ করা।

তিনি বলেন, সারাদেশে নির্বাচনে সহিংসতা লক্ষ্য করছি। এতেও আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে এ সহিংসতা বন্ধ হয়। জনগণ যাতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অত্যন্ত সজাগ ও কঠোর হতে হবে। এটাই আমাদের আবেদন। প্রশাসনকে কঠিনভাবে নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

১৪ দল মনে করে, ডিজেলের মূল্য হঠাৎ করে ১৫ টাকা বাড়ানো উচিত হয়নি। সরকারের উচিত ছিল তিন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সবকিছু নির্ধারণ করা।

আমির হোসেন আমু বলেন, আমরা ১৪ দলের পক্ষ থেকে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটার টাইম সিডিউল জানানো হবে।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ