সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
দুটি পরিবর্তন এনে শুক্রবার সেন্ট লুসিয়া টেস্টে মাঠে নামে বাংলাদেশ।
অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর এবার একাদশেও জায়গা হারান মুমিনুল হক।
মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন আরেক বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। এর আগে ইয়াসির আলীর চোটে এনামুল হক বিজয়ের খেলাটা নিশ্চিতই ছিল।
ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনটা দারুণ করেন টাইগাররা।
দ্বিতীয় সেশনেই পথ হারিয়ে ফেলেন সফরকারীরা। মাত্র ৩৩ রানের ব্যবধানে এনামুল, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসানের উইকেট হারিয়ে পুরোনো রূপ ধারণ করে।
সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে কক্ষপথে ফেরানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ হাল ছেড়ে দিলেও লিটন কুমার দাস নিজের খেলাটা খেলে যাচ্ছিলেন।
একপ্রান্ত ধরে রেখে ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ৬৬ বল খেলে ৮ বাউন্ডারিতে অর্ধশতক পূরণ করেন।
সেই সঙ্গে দারুণ একটি রেকর্ডও গড়ে ফেললেন লিটন দাস। ২০২২ সালের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হাজার রানের মাইফলক পার করলেন তিনি।
চলতি বছর তিন সংস্করণের ক্রিকেট মিলিয়ে সবার আগে হাজার রানে পৌঁছান লিটন। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম, শ্রীলংকার পাথুম নিশাঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা থেকে শুরু করে সবাইকে পেছনে ফেললেন তিনি।
২০২২ সালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় লিটনের পরেই রয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভৃত্য অরবিন্দ। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২৩ ম্যাচে তার রান ৯৪৫। তিন নম্বরে রয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ১০ ম্যাচের ১২ ইনিংসে করেছেন ৯১৩ রান।
শীর্ষ দশে থাকা অন্যরা হলেন পাকিস্তানের ইমাম-উল হক (৯ ম্যাচের ১২ ইনিংসে ৮৬৭ রান), আরব আমিরাতের চিরাগ সুরি (২৩ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ৭৭১ রান), শ্রীলংকার নিশাঙ্কা (২০ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৭৬১ রান), উসমান খাজা (৫ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ৭৫১ রান), নেপালের দিপেন্দ্র আইরি (২৩ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১৮ রান), ওমানের জতিন্দর সিং (২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৭১৮ রান) ও দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা (১৬ ম্যাচের ২২ ইনিংসে ৭১২ রান)।
সুত্রঃ যুগান্তর