বাধ্য হয়ে রমজান মাসেও কর্মসূচি দিয়েছি : মির্জা ফখরুল

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং পূর্ব ঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এ রমজান মাসেও যে সমস্ত জিনিসগুলো মানুষকে কষ্ট দেয় তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখব। রমজান মাসে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু আজকে দেশের যে অবস্থা তৈরি হয়েছে আমরা বাধ্য হয়েছি এ রমজান মাসেও সাধারণ মানুষকে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে আন্দোলন তা চলমান রাখতে। সে কারণে এ কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা আশ করব, সেই কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ অংশ নেবে।

শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ক্লাবে ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। ওলামা-মাশায়েক এবং এতিমদের সম্মানে ইফতারে আয়োজন করে বিএনপি। ইফতারে আগে বিশেষ মোনাজাত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক।

২০১৮ সালে খালেদ জিয়ার কারাগারে যাওয়ার পর তার সম্মানে বিএনপি আয়োজিত প্রতিটি ইফতারের মঞ্চে একটি আসন ফাঁকা রাখা হতো। কিন্তু আজকের ইফতারে সেটি রাখা হয়নি।

মির্জা ফখরুল ঘোষিত কর্মসূচি হলো, ১ এপ্রিল সারাদেশের সকল মহানগর ও জেলায় বেলা ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি। ৮ এপ্রিল সারাদেশের সকল মহানগরের থানা পর্যায়ে ও জেলার উপজেলা পর্যায়ে দুপুর ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি। ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগীয় শহরগুলোতে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সারাদেশের সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রচারপত্র বিলি, মানববন্ধন করা হবে।

এর মধ্যে ৯ এপ্রিল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ, ১০ এপ্রিল, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ, ১১ এপ্রিল খুলনা ও কুমিল্লা বিভাগ, ১২ এপ্রিল ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ, ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।

এছাড়া ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশের সকল জেলা/মহানগর, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, দুস্থ, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তাসহ বিভিন্ন গণসংযোগমূলক কর্মসূচিতে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন।

ইফতারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।