সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাবে। সব সরকারের আমলে প্রণীত বাজেটই জাতীয় ও জনস্বার্থবিরোধী হওয়ায় শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো উপেক্ষিত হয়েছে। তাই বাজেটকে যে শিরোনামেই উপস্থাপন করা হোক না কেন, এ বাজেট মূলত সাম্রাজ্যবাদের বিভিন্ন সংস্থা, তথা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকের নীতি-নির্দেশের আলোকে প্রণীত হয়। এজন্য প্রতিটি বাজেটই গণবিরোধী, গতানুগতিক ধারাবাহিকতারই প্রতিফলন।
তারা বলেন, বাজেট যে সরকারের আমলেই পেশ হোক, তাতে রাষ্ট্রের সুবিধাভোগী গোষ্ঠির স্বার্থে কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। যে কারণে, বাজেটের আকার বাড়লে লুটেরা গোষ্ঠির সম্পদের আকার বাড়ে, আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহায়-সম্পদ নষ্ট হয়। প্রচলিত ব্যবস্থায় বাজেট নিয়ে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের আশাবাদী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দেশকে চালাচ্ছে যে কৃষক, গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক, প্রবাসীসহ অন্য পেশার মানুষ, তাদের জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আর নানা নামে কর/ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি যেন নিয়তি।
জাতীয় ও জনস্বার্থমুখী বাজেটের পূর্বশর্ত হচ্ছে জাতীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজ। সে লক্ষ্য প্রতিষ্ঠায় সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান নেতারা। একইসঙ্গে, শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষনা দেওয়া হয়।