বাজারে আসছে ডিউক বল, থুতু ছাড়াই সুইং পাবেন পেসাররা!

ক্রিকেটে ডিউক বলের ইতিহাস বেশ পুরনো। একসময় ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল এটি। কিন্তু বাজারে কোকাবুরা আসার পর ক্রমশ কদর কমতে থাকে এর। খেলাটি থেকে প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিল এ বল।

তবে চলমান করোনাভাইরাসে ফের আলোচনায় এলো ডিউক বল। প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ক্রিকেটারদের বলে থুতু কিংবা লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। বলের ঔজ্জ্বলতা বাড়াতে এর বিকল্প খুঁজতে উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন কোম্পানি।

ঠিক সেই মুহূর্তে ক্রিকেট সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ডিউক দিল চমক। তারা বলছে, থুতু বা লালা ছাড়াই সুইং করবে তাদের তৈরি নতুন বল।

কিছু দিন আগে ক্রিকেট পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কোকাবুরা দাবি করে, তাদের তৈরি মোম দিয়ে ঘঁষে বল চকচকে করা যাবে। এ রকম একটি বল বাজারে আনছে তারা।

তবে সম্প্রতি ডিউকের ঘোষণা কোকাবুরার দাবি একেবারে ম্লান করে দিয়েছে। তারা বলছে, এরই মধ্যে একটি উচ্চমানের বল তৈরি করা হয়েছে। একে কিছু দিয়েই ঘঁষতে হবে না। এটি এমনিতেই সুইং করবে।

ডিউক কর্তৃপক্ষের দাবি, বলের সুইং থুতু কিংবা লালার ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে না। জোর গলায় এ কথা বলেছেন কোম্পানিটির মালিক দিলীপ জাজোদিয়া।

তিনি বলেন, আমরা উন্নতমানের একটি বল তৈরি করছি। এর আকৃতি অসাধারণ। এতে রয়েছে শক্তিশালী সিম। এটি হাতের তৈরি সেলাই। এ সিম বাতাসে ঘূর্ণির কাজ করবে। বলটি বেশ শক্তপোক্ত। ফলে দীর্ঘদিন এতে খেলা যাবে।

দিলীপের মতে, পেসাররা খুব সহজেই এ বলে মসৃণতা ফিরে পাবেন। ফলে নিয়মিত সুইং করবে।

তার কথায়, বাড়তি সুইং আদায়ে বলে ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেনি আইসিসি। ডিউকের নতুন বলের গুণ হচ্ছে, শরীর বা কপালের ঘাম দিয়ে হালকা ঘঁষে উজ্জ্বল করা যাবে। অধিকন্তু এমনিতেই এটি চকচকে থাকবে। ফলে এ বলে সুইংয়ের হার বেশি হবে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর