বাজল স্কুলের ঘণ্টা, মুক্তির নিঃশ্বাস পরীক্ষার্থীদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ময়মনসিংহের গৌরীপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে শুক্রবার বেজে উঠলো ঘণ্টাধ্বনি, প্রায় ৫০০ পরীক্ষার্থী এ কেন্দ্রে বেসিক কোর্সের সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ত্রিশাল, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষায় অংশ নেয় রিসেন্ট কম্পিউটার একাডেমির ১৪৪ জন, ডিজিটাল কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ১৩ জন, রাজ গৌরীপুর কম্পিউটার একাডেমির ৪৩, উপজেলা তথ্য সেবা কেন্দ্র ত্রিশালের ৪০ জন, প্রাইম কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের ৩৬ জন, ই-কমিউনিটি ট্রেনিং সেন্টারের ৮৭ জন, ইসলামিয়া ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার টেকনোলজির ৪৫ জন, রিলাক্স কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ৫৬ জন পরীক্ষার্থী।

দীর্ঘদিন পর এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরা, চিৎকার, আর ছিল বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। ক্যাম্পাসে প্রবেশ আর পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন আর খাতা পেয়ে ছাত্রছাত্রীদের মাঝে ছিল মুক্তির নিঃশ্বাস।

এ প্রসঙ্গে রিসেন্ট কম্পিউটারের পরীক্ষার্থী সানজানা তাসনিম তারিন বলেন, শুধু আনন্দ বলা যাবে না; আমরা মহা আনন্দিত। এই খাতা পাওয়া মানে শুধু পরীক্ষা নয়, করোনাকে জয়ের অঙ্গীকারনামা।

আরেক পরীক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন, জেল থেকে মুক্তির আনন্দ আমি বুঝি নাই, গৃহবন্দি থেকে মুক্তির আনন্দ আজ উপলব্ধি করতে পেরেছি।

ঈশ্বরগঞ্জের পরীক্ষার্থী জেসমিন আক্তার বলেন, এই দীর্ঘসময় ঘরে বসে থেকে জীবনের স্বাভাবিক গতি হারিয়ে যাচ্ছিল। এখন জীবনের প্রাণ ফিরে এসেছে।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিকাত আরা। তিনি বলেন, সব পরীক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেন্দ্রে এসেছেন, দেখেই ভালো লাগছে। করোনাকে জয়ের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবো।

কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আব্দুস সোবহান বলেন, দীর্ঘদিন পর কলেজটার জীবন ফিরে এলো। মনে হচ্ছে ভবনটাও অক্সিজেন নিচ্ছে।

গৌরীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা শতভাগ প্রস্তুত। আজকের পরীক্ষাগুলোও দীর্ঘদিন যাবত আটকা ছিল।

সূত্র: যুগান্তর