বাঙালির এ কান্নার শেষ নেই

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

আজ  ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী। বাংলার ইতিহাসের কলঙ্কিত দিন। বাঙালির কান্নার দিন। ধন্য পুরুষ স্বাধীন বাংলার স্থপতি, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি ১৯৭৫ সালের এই দিনে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়িতে, বাঙালির ইতিহাস তীর্থে নির্মমভাবে শহিদ হন। বৃষ্টিঝরা শ্রাবণের অন্তিম সেই দিনে বৃষ্টি নয়, ঝরেছিল রক্ত। বাংলার ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মতো বিশাল তার বুক থেকে রক্তগোলাপের মতো লাল রক্ত ঝরেছিল ঘাতকের বুলেটে।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ঘাতকরা সেদিন মুছে দিতে চেয়েছিল রক্তের চিহ্নসহ জাতির পিতার লাশ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্বকে বিনাশ করার। ভয়ার্ত বাংলায় ছিল ঘরে ঘরে চাপা দীর্ঘশ্বাস। সেই শোক আজও জেগে আছে রক্তরাঙা ওই পতাকায়, সেই শোক অনির্বাণ এখনো বাংলায়। রক্তভেজা সেই সিঁড়ি হাহাকার সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাঋদ্ধ বাঙালির হৃদয়ে। যে কান্না কখনো শেষ হওয়ার নয়। সেই নির্মম ঘটনা বর্ণনায় কবি রফিক আজাদ তার ‘এই সিঁড়ি’ কবিতায় লিখেছেন, ‘সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে-/ স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে/ সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে/ অমল রক্তের ধারা ব’য়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে ।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকীতে তার অবদান ও চলে যাওয়া নিয়ে রোদন করবে বাঙালি। জাতিবর্ণনির্বিশেষে বাঙালি জাতি আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিবসটি পালন করবে। এ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিনটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সরকারি কর্মসূচি : দিনটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। সকাল সাড়ে ৬টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। সশস্ত্রবাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

সকাল সাড়ে ৭টায় বনানী কবরস্থানে জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও অন্য শহিদদের কবরে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক ও ফুলের পাপড়ি অর্পণের পর ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাত করা হবে। আজ বাদ মাগরিব বঙ্গভবনের দরবার হলে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে।

সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চবিদ্যালয়, মাদ্রাসা, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আলোচনাসভা, কবিতা পাঠ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, চিত্র প্রদর্শনী, হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে। জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিলসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে। অনুষ্ঠানগুলোয় সরকারি কর্মকর্তাদের আবশ্যিকভাবে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হবে। দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ শোক দিবসে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। ধানমন্ডি, বনানী ও টুঙ্গিপাড়ার অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, এফএম বেতার ও কমিউনিটি রেডিও অনুষ্ঠানগুলো সরাসরি সম্প্রচার করবে।

বাদ জোহর কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। একইভাবে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভা হবে। এতে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

এদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক দলগুলোসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের জাতীয় শোক দিবসে দুর্নীতি, দুঃশাসন আর জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধুর আজীবন উৎসাহের কথা বলেছেন। দলটির উদ্যোগে বিকাল ৫টায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির অফিসে আলোচনাসভা হবে। বাংলাদেশ জাসদ ও তার সহযোগী, অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতারা দলীয় কার্যালয় (২২/১, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতির পিতার শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে সুরক্ষা বিধি মেনে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সংস্থাগুলোর সব স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দলের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ সব শাখার নেতাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করে দিবসটি স্মরণ ও পালন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

কী ঘটেছিল সেই রাতে : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। সময়টা ভোর। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি আক্রান্ত হওয়ার আগেই জাতি পিতা তার আত্মীয় ও মন্ত্রিসভার সদস্য আবদুর রব সেরনিয়াবাতের হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে যান। ওপর থেকেই বঙ্গবন্ধু নিচতলায় তার ব্যক্তিগত সহকারী এএফএম মহিতুল ইসলামকে টেলিফোন করে বলেন, সেরনিয়াবাতের বাসায় দুষ্কৃতকারীরা আক্রমণ করেছে। জলদি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন লাগা।

ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাড়িটি লক্ষ্য করে দক্ষিণ দিক থেকে আক্রমণ শুরু হয়। একটু পরেই বঙ্গবন্ধু তার ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসেন। ঘুম থেকে ওঠে গৃহকর্মী আবদুল আর রমা। বেগম মুজিবের কথায় রমা নিচে নেমে দেখেন সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য গুলি করতে করতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দিকে এগোচ্ছে। রমা বাড়ির ভেতরে ফিরে দেখেন, লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরা অবস্থাতেই বঙ্গবন্ধু নিচতলায় নামছেন। দোতলায় গিয়ে দেখেন, বেগম মুজিব ছোটাছুটি করছেন। রমা তিনতলায় চলে যান এবং বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা কামালকে ঘুম থেকে তোলেন। ঘটনা শুনে শার্ট-প্যান্ট পরে নিচতলায় নামেন শেখ কামাল। রমা দোতলায় শেখ জামাল ও তার স্ত্রীকেও ঘুম থেকে তোলেন। পরে শেখ জামাল তার স্ত্রীকে নিয়ে দোতলায় বেগম মুজিবের কক্ষে যান।

ওদিকে গোলাগুলির মধ্যে অভ্যর্থনা কক্ষে বঙ্গবন্ধুর সামনেই বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন মহিতুল। একপর্যায়ে রিসিভার নিয়ে বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব বলছি…। বঙ্গবন্ধু তার কথা শেষ করতে পারেননি। একঝাঁক গুলি জানালার কাচ ভেঙে অফিসের দেওয়ালে লাগে। কাচের টুকরায় মহিতুলের ডান হাতের কনুই জখম হয়। ওই জানালা দিয়ে গুলি আসতেই ছিল। বঙ্গবন্ধু টেবিলের পাশে শুয়ে পড়েন এবং মহিতুলের হাত ধরে কাছে টেনে শুইয়ে দেন। এর মধ্যেই গৃহকর্মী আবদুলকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে তার পাঞ্জাবি ও চশমা পাঠিয়ে দেন বেগম মুজিব। কিছুক্ষণ পর গুলিবর্ষণ থেমে গেলে বঙ্গবন্ধু উঠে দাঁড়িয়ে আবদুলের হাত থেকে পাঞ্জাবি আর চশমা নিয়ে পরেন। নিচতলার এই ঘর থেকে বারান্দায় বের হয়ে বঙ্গবন্ধু পাহারায় থাকা সেনা ও পুলিশ সদস্যদের বলেন, এত গুলি হচ্ছে, তোমরা কী করছ? এ কথা বলেই বঙ্গবন্ধু ওপরে চলে যান।

বঙ্গবন্ধু ওপরে উঠতে না উঠতেই শেখ কামাল নিচে নেমে বারান্দায় দাঁড়িয়ে বলেন, আর্মি আর পুলিশ ভাইরা, আপনারা আমার সঙ্গে আসেন। এ সময় শেখ কামালের পেছনে গিয়ে দাঁড়ান মহিতুল ইসলাম ও পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (ডিএসপি) নুরুল ইসলাম খান। ঠিক তখনই মেজর নূর, মেজর মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) এবং ক্যাপ্টেন বজলুল হুদা সৈন্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ঢোকে। গেটের ভেতর ঢুকেই তারা হ্যান্ডস আপ বলে চিৎকার করতে থাকে। মহিতুল ইসলামকে টেনে ঘরের মধ্যে নিয়ে যান নুরুল ইসলাম খান। কোনো কথা না বলেই শেখ কামালের পায়ে গুলি করে বজলুল হুদা। নিজেকে বাঁচাতে লাফ দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে পড়েন শেখ কামাল। মহিতুলকে বলতে থাকেন, আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল। আপনি ওদেরকে বলেন। মহিতুল ঘাতকদের বলেন, উনি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল। সঙ্গে সঙ্গে শেখ কামালকে লক্ষ্য করে বজলুল হুদা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে বার্স্ট ফায়ার করে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান শেখ কামাল। গুলি মহিতুলে হাঁটুতে, আরেকটা নুরুল ইসলামের পায়ে লাগে। এ অবস্থাতেই মহিতুলকে টেনে নুরুল ইসলাম তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তারা দেখেন, পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্য দাঁড়িয়ে ভয়ে কাঁপছে। অস্ত্রটা তার পায়ের কাছে পড়ে আছে। মুহূর্তের মধ্যে ওই ঘরে ঢুকে বজলুল হুদা সবাইকে বাইরে গিয়ে দাঁড়ানোর আদেশ দেয়।

নিচে কী হচ্ছে তার কিছুটা আঁচ করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি দোতলায় তার ঘরের দরজা বন্ধ করে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন। একপর্যায়ে ফোনে তার সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিনকে পান। তিনি তাকে বলেন, জামিল, তুমি তাড়াতাড়ি আসো। আর্মির লোকেরা আমার বাসা অ্যাটাক করেছে। শফিউল্লাহকে ফোর্স পাঠাতে বলো। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহকেও ফোন করেন বঙ্গবন্ধু। তিনি তাকে বলেন, শফিউল্লাহ তোমার ফোর্স আমার বাড়ি অ্যাটাক করেছে, কামালকে (শেখ কামাল) বোধহয় মেরে ফেলেছে। তুমি জলদি ফোর্স পাঠাও। জবাবে শফিউল্লাহ বলেন, আই অ্যাম ডুয়িং সামথিং। ক্যান ইউ গেট আউট অব দ্য হাউজ?

বঙ্গবন্ধুর কথা শোনার পরই কর্নেল জামিল তার ব্যক্তিগত লাল রঙের গাড়িটি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হন। সঙ্গে ছিলেন নিজের গাড়িচালক আয়েনউদ্দিন মোল্লা। কিন্তু পথেই সোবাহানবাগ মসজিদের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা। পালিয়ে বেঁচে যান আয়েনউদ্দিন।

গোলাগুলি থামলে বঙ্গবন্ধু দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে এলেই ঘাতকরা তাকে ঘিরে ধরে। মেজর মহিউদ্দিন ও তার সঙ্গের সৈন্যরা বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে যেতে থাকে। ঘাতকদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘তোরা কী চাস? কোথায় নিয়ে যাবি আমাকে?’ বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্বের কাছে মহিউদ্দিন ঘাবড়ে যায়। বঙ্গবন্ধু বলেন, তোরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি, কী করবি- বেয়াদবি করছিস কেন? এ সময় নিচতলা ও দোতলায় সিঁড়ির মাঝামাঝি অবস্থান নেয় বজলুল হুদা ও নূর।

বঙ্গবন্ধুকে নিচে নিয়ে আসার সময় নূর কিছু একটা বললে মহিউদ্দিন সরে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বজলুল হুদা ও নূর তাদের স্টেনগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে গুলি করে। বঙ্গবন্ধুর বুকে ও পেটে ১৮টি গুলি লাগে। নিথর দেহটা সিঁড়ির মধ্যে পড়ে থাকে। সারা সিঁড়ি ভেসে যায় রক্তে।

সূত্র : যুগান্তর