বাঘায় ১৫ দিনে ৬টি নারী নির্যাতন, মামলার প্রধান আসামীরা আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘায় ১৫ দিনে ৬টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ৬টি মামলা হয়েছে। এইসব মামলার প্রধান আসামী ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৫ দিনের ব্যবধানে উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী, তিন নারী ধর্ষন, দুই স্কুল ছাত্রী অপহরণ এবং এক শিশু শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। এ ঘটনার ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামীরা পলাতক থাকায় আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এরমধ্যে ১৩ জুন উপজেলার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের মামলায় অনিক হাসানকে আটক করা হলেও ৩ জন আসামী পলাতক রয়েছে। ২ জুন উপজেলার সোনাদহ গ্রামের নবম শ্রেণির অপহরণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী হোসেন আলীর ছেলে টিংকু হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এই মামলার অন্য ৬ জন আসামীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে ২৭ জুন বিয়ের প্রলোভন দিয়ে উপজেলার ছাতারি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রমজান আলীর নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় পুলিশ ওই রাতে আসামী রমজান আলীকে আটক করা হয়।

২৫ জুন উপজেলার মীরগঞ্জ এলাকায় এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ৭০ বছরের বৃদ্ধকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এই ঘটনায় প্রতিবন্ধীর আত্মীয় বাদি হয়ে বাঘা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

৩ জুলাই উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে রহিম আলী নামের যুবক বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক নারীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার আসামীকে আটক করা রয়েছে।

গত ২ জুলাই উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রতিবেশী নানার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার আসামী নানা আসাদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।

বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ দিনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যে ৬টি মামলা হয়েছে তার সবকয়টি মামলার প্রধান আসামীকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত দুই নারী। তবে অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।