বাঘায় মাল্টা চাষে সফল তিন যুবক


আমানুল হক আমান, বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় মাল্টা চাষে সফল হচ্ছেন মুক্তা, তোফাজ্জল ও সুলতান নামের ৩ যুবক। তারা উপজেলার আড়ানী খোর্দ্দ বাউসা এলাকায় ৩ বিঘা জমি লিজ নিয়ে মাল্টার বাগান করেছেন। ১০ বছর চুক্তিতে বাৎসরিক ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এই মাল্টার বাগান করছেন।

তারা ২০১৭ সালে তিন বিঘা জমির উপর ৩০০টি চারা রোপন করেন। দুই বছর পরিচর্যা শেষে প্রথম বছর ২০১৯ সালে ৬৭ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেন। চলতি বছরে ৪ লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি হবে বলে আসা করেন তারা। ইতিমধ্যেই নাটোরের এক ব্যবসায়ী সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দাম বলেছেন। তারা আর একটু বেশি দাম হলেই বিক্রি করেন দিনেব বলে জানান।

মুক্তা, তোফাজ্জল ও সুলতান স্থানীয় তিনবন্ধু মিলে মাল্টার বাগান করার পরিকল্পনা করেন। তারপর তারা এক সাথে তিন বিঘা জমি পেয়েও যায়। সেই জমিতে বাগান করেন।

এ বিষয়ে সুলতান আহম্মেদ বলেন, বাগানে মাল্টার গাছ রয়েছে ৩০০টি। বাগানে বারি মাল্টা-১ (পয়সা মাল্টা), থাইল্যান্ডের বেড়িকাটা মাল্টা ও ভারতীয় প্রলিত মাল্টা জাতের গাছ আছে। চারা রোপণের দুই বছরের পর থেকে ফলন শুরু হয়। কিন্ত ৩ বছর পর একটি গাছে পূর্ণাঙ্গভাবে ফল ধরা শুরু করে। ৩ বছর পরে গাছপ্রতি মৌসুমে ৪০০ থেকে ৪৫০টি মাল্টা ধরে। বর্তমানে তাঁর বাগান পরিচর্যার জন্য ২ জন লোক কাজ করেন। তাঁর দেখাদেখি এলাকার অনেক বেকার যুবক মাল্টা বাগান করে বেকারত্ব দূর করছেন।

বর্তমানে তাঁর মাল্টা নিজ এলাকা পাশাপাশি দূরদূরান্তের ফল ব্যবসায়ীরা বাগানের মাল্টা কিনে নিয়ে বিক্রি করেন। বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা মৌসুম ভেদে পাইকারি ৮০-১২০ টাকা প্রতি কেজি দরে ক্রয় করেন । রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, তাঁরা তিন বন্ধু মাল্টাবাগানে পরিচর্যা করছেন।

বাঘা উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তা, তোফাজ্জল ও সুলতানের মাল্টা বাগানে উৎপাদিত মাল্টা আকারে বড় ও মিষ্টি। তাদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পরামর্শ দেয়া হয়।

স/আ.মি