রবিবার , ২৯ জুলাই ২০১৮ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাঘায় পদ্মার ভাঙনে আশ্রয় হারানোর আশঙ্কায় তিন গ্রামের মানুষ

Paris
জুলাই ২৯, ২০১৮ ৩:৫৭ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি:

পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙছে পদ্মার পাড়। মাটি ধসে পড়ে দীর্ঘ হচ্ছে ভাঙনের চিত্র। প্রায় চার কিলেমিটার ভাঙনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে প্রায় দুই শতাধিক বিঘা জমিসহ গাছপালা। যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তা দেখে বাড়ি ঘর বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন পদ্মা পাড়ের তিন গ্রামের মানুষ। জেলার বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গোকুলপুর, জোত কাদিরপুর ও আলাইপুর এলাকায় নদীর এ ভাঙনে এলাকাবাসী এখন আশ্রয় হারানোর ভয় করছেন।

রোববার (২৯ জুলাই) ভাঙন এলাকা পরিদর্শনকালে পদ্মার তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, এক মাস আগে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পাশা-পাশি শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। এবার যে সমস্ত জমি ভাঙনের কবলে পড়েছে, তার সিংহ ভাগ জমিতে ছিল আম ও খেজুর গাছসহ অন্যান্য গাছপালা। এবার ভাঙনের কবলে তার নিজস্ব চল্লিশ বিঘা জমিসহ আম বাগান বিলিন হয়ে গেছে।

এছাড়াও গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মালিথার ১৭ বিঘা, একই গ্রামের আজিবর মালিথা ও আস্তুল মালিথার প্রায় বিশ বিঘা, আব্দুল মতিন মালিথার ৫ বিঘা, পাশ্ববর্তী গ্রাম জোত কাদিরপুর গ্রামের মুনছুর মালিথার ১৩ বিঘা, কুদরত আলীর এক বিঘা, শমসের আলীর তিন বিঘা, হাফিজুর রহমানের ১৫ বিঘা, পাকুড়িয়ার হাফিজুর রহমানের তিন বিঘা, মালিয়ানদহ গ্রামের নয়ন পীরের দুই বিঘা জমিসহ প্রায় দুই শতাধিক জমি ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে ইতিমধ্যে বিলিন হয়ে গেছে। যার সিংহভাগ জমিতে আম গাছসহ বিভিন্ন গাছপালা।

গত ৩০ বছরে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায় হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, বসত ভিটা, রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্টান। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। এই সব পরিবারের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে পদ্মা। এদের অনেকেই বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসত বাড়ী গড়ে তুলে বসবাস করছে।

পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবলু জানান, প্রতি বছর ভাঙনের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে মানুষ। তবে বর্তমানের ভাঙনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, পদ্মার ভাঙ্গনের খবর পেয়েছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।

স/বি

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর