বাঘায় পদ্মার বাঁধে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর ভীড়

বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার বাঁধে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থীর ভীড় দেখা গেছে। উপজেলায় কোন বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় নবনির্মিত বাঁধে মানুষ বিনোদনের জন্য প্রতিদিন ভিড় করছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনাসহ ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ৭২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যায়ে দীর্ঘদিন পর উপজেলার মীরগঞ্জ ও গোকুলপুর এবং চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ও রাওথা এলাকায় ৪.৩ কিলোমিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ, উপজেলার আলাইপুর এলাকায় এক কিলোমিটার বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, ৮০০ মিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ পুনর্বাসন, আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর পর্যন্ত ১২.১ কিলোমিটার পদ্মা নদীর ড্রেজিং কাজ চলছে। এই স্থানগুলোতে বিনোদনের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন। বাঁধ নির্মান কাজ সম্পূন্ন হলে মানুষের ভিড় আরো বাড়বে।

এ বিষয়ে আড়ানী থেকে ঘুরতে আসা শিরিন সুলতানা বলেন, আমার এলাকায় কোন বিনোদনের জন্য জায়গা নেই। আমারা স্ব-পরিবার ঘুরতে এসেছি। তবে বসার স্থান করে দেওয়া হলে ভাল লাগতো।

এ বিষয়ে পদ্মার তীরবর্তী গোকুলপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও নাপিতপাড়া গ্রামের ভানু বেগম বলেন, ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েক বছরে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, বসতভিটা, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া অনেকেই ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বহারা হয়েছেন। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সহযোগিতায় বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। ফলে আমরা এখন স্বস্তিতে রয়েছি। আগে এ এলাকায় কোন মানুষ দেখা যেতো না। এখন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মানুষ ঘুরতে আসছে। এ দেখে আমাদের অনেক ভাল লাগছে।

এ বিষয়ে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার তানভীর আহম্মেদ বলেন, পদ্মা নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ, বিকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ, নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ পুনর্বাসন, ড্রেজিং কাজ চলছে। কাজ সম্পূন্ন হলে আরো ভাল লাগবে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, আমি শুনেছি বাঁধ নির্মান কাজ যে অংশটুকু হয়েছে, সেই অংশে প্রতিদিন শত শত মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে দেখতে আসছেন।

জি/আর