বাঘায় পদ্মার পানি কমায় চরে ঘরবাড়ি তৈরীতে ব্যস্ত

 

বাঘা প্রতিনিধি: 

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার পানি কমার সাথে সাথে চরে ঘরবাড়ি তৈরীতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানের বসবাসরত অনেকে। নতুনভাবে ঘরবাড়ি মেরামত করছে। যাদের হাতে অর্থ নেই তারা অনেকেই রয়েছে বেকায়দায়।

চৌমাদিয়া চরের খৈয়বর হোসেন বলেন, ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ি নতুন করে মেরামত করছি। মেরামত করার পয়সা নেই। তার পরে তিন ছেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রী সুফি বেগমকে নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি। এবারের ভাঙনে বাড়িঘর পদ্মা গর্ভে চলে গেছে। কি করে ঘর মেরামত করব ? হাতে তো পয়সা নেই। এমন কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। স্ত্রী সুফি বেগম বলেন, স্বামীর অনেকটায় বয়স হয়েছে। তারপর আবার অসুস্থ্য দিন চালানোই মুসকিল হয়ে পড়েছে।

পলাশী ফতেপুর চরের বখতিয়ার খাঁ বলেন, চকরাজাপুর ইউনিয়ন চরের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি কাজ ও পাশাপাশি পদ্মায় মাছ ধরা। তাদের যা আয় হয় এই দিয়ে সংসার চরে। তারপর প্রতি বছর ঘড়বাড়ি ভেঙ্গে যায়। প্রতি বছর ঘরবাড়ি মেরামত করতে হয়। ভাঙ্গনের ফলে এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় ঘরবাড়ি তুলতে হয়। এভাবেই চলে আমাদের জীবন। শুকনো মৌশুমে কৃষি কাজ, বর্ষায় মাছ ধরে জীবন জীবীকা নির্ভর করতে হয়।

চৌমাদিয়া চরের আঞ্জু মোল্লা বলেন, পানি কমার সাথে সাথে ঘরবাড়ি মেরামত করার চেষ্টা করছি। ঘরবাড়ি মেরামত না করলে থাকা মুসকিল হয়ে যাবে। খোলা জায়গাতে তো বসবাস করা যায় না।

চৌমাদিয়া চরের গোলাম মোস্তাফা বলেন, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। মেরামত তো করতেই হবে। মেরাতম না করলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস কিভাবে করব। কিছু টাকা ছিল এই টাকা দিয়ে বাড়িঘর তৈরী করার চেষ্টা করছি।

চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, পদ্মার পানি কমতে শুরু করেছে। যেভাবে পদ্মার পাড় ভাঙ্গছে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা না করলে এলাকার চিহ্ন থাকবে না।

পদ্মার ১৫টি চরে পরিবার রয়েছে ৩ হাজার ৭৬২। এবারের ভাঙনে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। তারা নতুন করে সাধ্যমত ঘরবাড়ি তৈরী করার চেষ্টা করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, ঘরবাড়ি ভেঙ্গে যাওয়া পরিবারের তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে।