বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরের মধ্যে চকরাজাপুর প্রথম ইউনিয়ন, প্রথম চেয়ারম্যান ও প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ষষ্ঠধাপে ৪ জুন প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আজিযুল আযম। শপথ গ্রহনের পর মঙ্গলবার সকালে চেয়ারম্যানের বাড়ির আঙ্গিনায় বট গাছের তলায় খেজুর গাছের পাটি পিছিয়ে নবনির্বাচিত মেম্বার ও একাবাসিদের নিয়ে প্রথম সভা করেন। প্রথম এই ইউনিয়ন হওয়ায় পর থেকে চরবাসির উন্নয়ন হবে স্বপ্ন অনেক দিন থেকে।
বাঘা উপজেলার পুরোনো গড়গড়ি, পাকুড়িযা ও মনিগ্রাম ইউনিয়ন ভেঙ্গে পদ্মার নদীর চরে ৪৬ দশমিক ৪৭২ বর্গকিলোমিটির এলাকা নিয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে। পদ্মার ওপারে গড়গড়ি, পাকুড়িযা ও মনিগ্রাম ইউনিয়ন আদালা রয়ে গেছে। প্রথম এই ইউনিয়নে জনসংখ্যা ২০ হাজার ৪৭২ জন। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৩৭৬ জন। এর মধ্যে পরুষ ৪ হাজার ২৬৪ ও নারী ৪ হাজার ১৩০ জন।
চেয়ারম্যান আজিযুল আযমের সভাপতিত্বে সভায় প্রথমে এলাকাবাসিরা চেয়ারম্যানের কাছে দাবি করেন কখনো চরের উন্নয়ন হয়নি। এখন উন্নয়ন করতে হবে। এছাড়া বর্ষার সময়ে নৌকা ছাড়া পারাপারের কোন ব্যবস্থা থাকে না। একটি খেয়া ছেড়ে গেলে পরের খেয়ার জন্য বসে থাকতে হয়। এছাড়া রাস্তা-ঘাট নেই, নেই বিদ্যুৎ এছাড়া একজন সন্তান সম্ভাবা মায়ের প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে কাঠের তক্তায় শুয়ে মাথায় করে হাসাপাতালে নিতে হয়। এখন চেয়ারম্যান নির্বাচন হযেছে তাদের দুঃখ কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করেন।
চকরাজাপুরের মোস্তাক আহম্মেদ সিকদার বলেন, আগের ইউনিয়ন পরিষদ পদ্মার ওপারে ছিল। কোন কাজে যাওয়াটা কঠিন ছিল, এছাগা সারা দিন লাগত। প্রথম ইউনিয়নে এবার প্রথম নির্বাচনে প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। প্রথম ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন হবে। এখন অন্তত হেঁটে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারব এই প্রত্যাশ করি।
চেয়ারম্যান আজিযুল আযম বলেন, আমার চেষ্টায় চরের জনগনের দীর্ঘদিনের ফসল হিসেবে চরকে আলাদা ইউনিয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি এর আগে অবিভক্ত গড়গড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। বর্তমানে আলাদা হয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন গঠন হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। এমপি, মন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে চরের সার্বিক উন্নয়ন করব। এই প্রথম নির্বাচন প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছি।
স/মি