বাঘায় কড়ালি আম দুই টাকা কেজি

আমানুল হক আমান, বাঘা :
রাজশাহীর বাঘায় গাছ থেকে ঝরে পড়া কড়ালি আম দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারের মোড়ে এই কড়ালি আম বিক্রি হচ্ছে। মঙ্গলবার আড়ানী পৌরসভার গোচর গ্রামে এই আম বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখের প্রখর রোতে আমের বুটা নরম হয়ে যায়। এরপর একটু বাতাসে ঝরে যাচ্ছে। এই আম গ্রামের সাধারণ মানুষ কুড়িয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারের মোড়ে দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।

উপজেলার দিঘা গ্রামের আম বাগান মালিক ময়েন উদ্দিন বলেন, আমার আম বাগানে প্রতিটি গাছে পরিমানমত আম আছে। হটাৎ প্রখর রোত ও একটু বাতাসে কড়ালি ঝরে যাচ্ছে। এই কড়ালি এলাকার ছোট ছোট ছেলেরা কুড়িয়ে দুই থেকে আড়াই টাকা কেজিতে বিক্রি করছে।

উপজেলার আড়ানী গোচর গ্রামের কড়ালি ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বরাবর ঝড়ে পড়া কড়ালি আম কিনে ঢাকায় চালান করি। এই কড়ালি আম দুই টাকা থেকে আড়াই টাকা দরে প্রতি কেজি ক্রেতাদের কাছে থেকে ক্রয় করছি।

একই এলাকার বিক্রেতা শাহীন আলম বলেন, আমি বাগান পাহাড়া দিয়ে থাকি। এখনো বাগাম মালিক বাগানে নিয়োজিত করেনি। তবে মালিকরা মাচা তৈরী করার জন্য বলেছে। সেই মোতাবেক কিছু কিছু বাগানে পাড়ারা দেয়ার জন্য মাচা তৈরী শুরু করেছি। তবে এখন বাতাসে যে কড়ালি আম ঝরে পড়ছে, সেগুলো কুড়িয়ে বিক্রি করছি। বাগান মালিকরা এগুলোর টাকা নেই না।

উপজেলার মনিগ্রামের আম চাষি জিল্লুর রহমান বলেন, প্রায় শতাধিক বিঘা আম বাগান লিজ নিয়ে চাষ করেছি। গাছে যথেষ্ট আম আছে। মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আম পাড়া শুরু হওয়ার আগে এই মহামারি স্বাভাবিক না হলে অনেক ব্যবসায়ী ও চাাষিদের পথে নামতে হবে। এদিকে সামনে যে কোন সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ের একটি ভয় আছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রচন্ড রোদের কারনে আমের বোটা নরম হয়ে যাওয়ায় একটু বাতাসেই আম ঝরে যায়। এই আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলায় ৮ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এ বছর বাগানে আম কম থকায় উৎপাদন ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ৬ থেকে ৭ মেট্রিক টন। এই উপজেলায় খাদ্য শস্যের পাশাপাশি অর্থকরী ফসল হিসেবে আম প্রধান। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উপজেরার আমের সুখ্যাতি সবচেয়ে বেশি।

স/অ

আরো পড়ুন…

ভোর রাতেই রাজশাহীতে তেড়েফুঁড়ে বৃষ্টি