বাঘায় এক সপ্তাহে কুকুর-শিয়ালের কামড়ে ১৬ জন আহত


বাঘা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাঘায় পৃথকভাবে কুকুর ও শিয়ালের কামড়ে ১৬ জন আহত হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার আড়ানী ঝিনা ও পদ্মার চরের পলাশী ফতেপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কুকুর ও শিয়ালকে তাড়া করতে গেলে পর্যায়ক্রমে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, উপজেলার আড়ানী ঝিনা গ্রামে কুকুরের কামড়ে আহতরা হলোন আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী আফরোজা (৪৫), মৃত সামসের আলীর ছেলে আবদুস সাত্তার (৬০), তৈজাল আলীর স্ত্রী বেগম আরা (৪৫), সোনার মেল্লার স্ত্রী দোলেনা বেগম (৬০), নয়ন আলীর ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌস (৪), আকাশ আলীর মেয়ে (আয়েশা খাতুন (৩), আবুল হোসেনের জামাই সাইদুর রহমান (৩৫), লোকমানপুর এলাকার অজ্ঞাত পথচারী দুইজন, ভিক্ষুক দুইজন। এই ১১ জনকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা সরকারপাড়া তিন রাস্তার মোডে কুকুরের কামড়ে আহত হয়।

এ বিষয়ে আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, কুকুরের কামড়ে আহতরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রত্যায়ন নিয়ে ভ্যাকশিন গ্রহণ করেছেন। আপাতত তারা সবাই ভাল আছেন।
অপর দিকে সোমবার শিয়ালের কামড়ে উপজেলার পদ্মার মধ্যে পলাশী ফতেপুর চরের আহতরা হলেন-তফিল উদ্দীনের ছেলে বাদশা আলী (৩৫), নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ হোসেন (২১), মহরম আলীর দুই বছরের শিশু ছেলে মহিম হোসেন, সরেরহাট গ্রামের রহিম উদ্দীনের ছেলে রুবেল আলী (২৬) ও দুড়দুড়িয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৩০)। তারা সবাই স্থানীয় মাঠে কাজ করতে যায়।

এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশী ফতেপুর চরের নবনির্বাচিত মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান শিশির জানান, কয়েক দিন ধরে একটি শিয়াল এলাকায় ঘোরাফেরা করছিল। ওই শিয়ালটিকে তাড়া করলে সেটি ফিরে এসে কামড় দেয়। এতে তারা আহত হন। পরে আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রাশেদ আহমেদ জানান, পাগলা কুকুর ও শিয়ালের কামড়ে আহতদের প্রত্যেককেই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

এএইচ/এস