আমানুল হক আমান:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী এলাকায় পাগলা কুকুরের কামুড়ে আহত হয়েছে ১৩ জন। এছাড়া পাগলা কুকুরের কামড়ের শিকার হয়েছে অনেক গৃহপালিত পশু। আহতরা ভ্যাকসিন কিনতে না পেরে এখন কবিরাজি দ্বারস্ত হয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার আড়ানী নুরনগর, বেড়রবাড়ি, ঝিনা গ্রামে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে পাগলা কুকুরে কামড়ে দিয়েছে ১৩ জন ব্যক্তিকে। কুকুরের কামড়ে আহত ব্যক্তিরা অধিকাংশ হতদরিদ্র। উপজেলা পরিষদে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় দিন এনে দিন খাওয়া এসব হতদরিদ্র ব্যাক্তিরা ভ্যাকসিন কিনতে না পেরে কবিরাজি চিকিৎসার আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, নুরনগর গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী সাহিদা বেগম, খাইরুল ইসলামের স্ত্রী রুমা বেগম, শাহিন আলীর স্ত্রী বেলি বেগম, ফিরোজ আলীর স্ত্রী সাগরি বেগম, মচেন আলীর ছেলে শরিফ হোসেন, আবদুল হান্নান আলীর স্ত্রী তহমিনা বেগম, রাজা হোসেনের ছেলে জালাল হোসেন, নইম উদ্দিনের নাতী পাখি খাতুন, সাইদুল ইসলামের স্ত্রী হিরা বেগম, আসমত আলীর ছেলে মোস্তফা হোসেন, ঝিনা গ্রামের মামুন সরকার, বেড়েরবাড়ি গ্রামের মসলেম উদ্দিনের ছেলে জলিল উদ্দিন, সালাম।
নুরনগর গ্রামে কুকুরের কামুড়ে আহত সালাম উদ্দিন বলেন, আমি গরীব মানুষ। ভ্যাকসিন কিনতে না পেরে কবিরাজি চিকিৎসা নিচ্ছি।
আরেকজন তহমনিা বেগম বলেন, তিন দিন আগে আমাকে কুকুরে কামড় দিয়েছে। টাকার অভাবে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন কিনতে পারিনি। এছাড়া আড়ানী পৌর বাজার পাহাড়াদার রমজান আলী ও কাবির উদ্দিন কুকুরে কামড়ে আহত হয়েছে।
আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক রফিকুল ইসলাম বলেন, কিছু মানুষ ও গরু-ছাগলকে কুকুরে কামড় দিয়েছে শুনেছি। তারা ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা জানিনা। তবে কুকুরে কামড়ানো ব্যাক্তিরা সবাই হতদরিদ্র।
তিনি বলেন, আমার পরিষদে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রত্যয়নপত্র দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
বাঘা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এক মাসের মধ্যে পাগলা কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন না দিলে সে পাগল হয়ে মানুষকে কামড়াতে শুরু করবে। আর কিছুদিন পর সে মারা যাবে। এর প্রতিকার করতে হলে এলাকায় কুকুর নিধন করতে হবে।
স/শ