বাঘায় ইটভাটা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাঘায় অবৈধভাবে ইটভাটা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভাটার মালিক আমজাদ হোসেন।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা-হরিপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আমজাদ হোসেন বলেন, ২০১১ সালে ঝিনা-হরিপুর গ্রামের আতাহার আলীর ৪ বিঘা ও পাশের গ্রামের তারিফ হোসেন চুনু, আকরাম হোসেন, আজাহার আলী, ফজলু মাষ্টার, হানান মেলেটারিসহ ১০ জনের কাছে থেকে ১০ বছরের চুক্তিতে ২০২১ সালের ১৩ জুন পর্যন্ত ৩০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে এ.এইচ. ব্রির্ক লাইসেন্সে ইটভাটা নির্মাণ করা হয়।

ভাটা চলাকালীন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমার মূলধনের অংশ থেকে ঘাটতি হয়। পরে আতাহার আলীকে ৫০ ভাগ শেয়ার হিসেবে ৭৫ লক্ষ টাকা ইটের দাম ধরে পার্টনার হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এ সময় স্থানীয় কতিপয় লোকজন রাতের আধারে ভাটায় রক্ষিত ইট লুট করে নিয়ে যায়। ফলে আমি নিস্ব হয়ে যায় এবং ভাটা বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় ২০১৪ সালে আবার ভাটা চালু করা হয়। কিন্ত এ সময়ে আমার পাটনার আতাহার আলীর আর্থিক অনটনের কারণে ২০১৬ সালে আমাকে কিছু না জানিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুর কাছে তার অংশ ও অপর জমির মালিক তারিফ হোসেন চুনু ১৫ বছরের চুক্তিতে লিজ প্রদান করেন। কিন্তু আমার অংশের লিজ প্রদান করি নাই। তারপর সাবেক ওই চেয়ারম্যানের পরিচয় দিয়ে আড়ানী পৌরসভার সিদ্দিক ফকির, মনজু হোসেন ও মিঠু হোসেন আমার অংশসহ ইটভাটা দখল করে আছেন। তারা আমার অংশের মালিকানা বুঝে না দিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে কাজ চালাতে থাকে। আমার বাড়ি লালপুর উপজেলার শোভ গ্রামে হওয়ায় আমি তাদের প্রভাবে টিকতে পারি নাই।

এদিকে ইটভাটার লাইসেন্স এ.এইচ. ব্রির্ক নামে প্রতিষ্ঠিত থাকলেও তারা নাম পরিবর্তন করে এন.এস.কে নাম দিয়ে চালাতে থাকেন। এ অবস্থায় তারা ভ্যাট আয়কর, বিদ্যুৎ বিল, ভাটার মাঠ সংস্করণ না করে ভাটার অবস্থানস্থলে দেড় থেকে দুই থেকে ফুট মাটি কেটে ইট তৈরি শুরে করেন। ফলে সর্বমোট ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এরমধ্যে তারা জোরপূর্বক ভাটা চালালেও সরকারি বিধিমতে আয়কর ১৬ লক্ষ, বিদ্যুৎ বিল ১৬ হাজার পরিশোধ করে নাই। এতে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারিয়েছে, অন্যদিকে আমার ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এই বিষয়ে প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সাংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সুদৃষ্টি কামনা করেন ভাটার মালিক আমজাদ হোসেন।

এ বিষয়ে মিঠু আহম্মেদ বলেন, আমি ইটভাটার মালিক ফিলিপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নইমুদ্দিন সেন্টুর কাছে অগ্রিম কিছু ইট কিনার জন্য টাকা দিয়েছিলাম। সেই টাকা তিনি দিতে না পারায় তার কাছে থেকে ইটভাটা লিজ নিয়েছি। আমার যদি বৈধতা থেকে থাকে তাহলে ইটভাটার ব্যবহার করবো। অবৈধতা থাকলে ছেড়ে দিব। তবে আমি অবৈধভাবে ইটভাটা ব্যবহার করছিনা। আমি এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যানকে জানিয়ে ইটভাটা লিজ নিয়ে ব্যবহার করছি।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভাটার অংশীদার আতাহার আলী, পাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর সদস্য জালাল উদ্দিন, শাহাজান আলী, শরিফ উদ্দিন, তুহিন আলী, জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।