বুধবার , ২৬ জুন ২০২৪ | ১১ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাঘায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আ.লীগ নেতার মৃত্যু: মাথায় সাদা কাপড় বেঁধে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

Paris
জুন ২৬, ২০২৪ ৯:৪৫ অপরাহ্ণ

বাঘা প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আ.লীগ নেতা বাবুলরে মৃত্যুর খবরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে। বুধবার (২ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শতশত নেতাকর্মীরা একত্রি হয়ে মাথায় সাদা কাপড় বেধে মহাসড়কে প্রধান আসামী পৌর মেয়র আক্কাছ আলীসহ সকল আসামীদের ফাঁসির দাবিতে রাস্তার দুই পাশে টায়ার জালিয়ে, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় বাজারে গুরুত্বপূর্ণন্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন নবাব, উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিল্টন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম বিপ্লব, আড়ানী পৌর কাউন্সিলর কার্তিক চন্দ্র হালদার, বাঘা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহাগ, মারুফ মন্ডল প্রমুথ।

জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মানববন্ধনে হামলা করে।

এ সময় তাদের হামলায় মানববন্ধনকারীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরের মধ্যে আশ্রয় নেয়। কিন্তু আক্কাছ আলী তেড়ে গিয়ে চাইনিস কুড়াল দিয়ে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে আঘাত করে। এতে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে ৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৬ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তার মৃত্যু হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫৫) বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমুর হোসেন আমুর ছেলে।

তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

ঘটনার পরের দিন ২৩ জুন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি ত্রুত বিচার আইনে মেয়র আক্কাছ আলী, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেসসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদীক কবীর বলেন, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে মেয়র আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে তিন শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া হয়। এরপর তারা এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে।

এ অবস্থায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম উপজেলা অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে গেলে তাকে মেয়র আক্ক্যাছ আলী চায়নিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথার বাঁ-পাশে আঘাত করেন আক্কাছ আলী। মামলার ২ নম্বর আসামি মেরাজুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশরাফুল ইসলামের ঘাড়ে আঘাত করেন। আসামিদের ইটপাটকেল ও পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গ্লাস ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করায় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। আহত আশরাফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ৬ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার তার মৃত্যু হয়েছে।

বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে। অপ্রীতিকর ঠেকানে বিভিন্নস্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর