বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:
বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নাটোরের বাগাতিপাড়ার মা হেনা বেগমের মৃত্যুর ৫ দিন পর আহত ছেলে রুদ্র (১৭) মারা গেছে। বুধবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রুদ্র উপজেলার সোনাপুর হিজলি পাবনা পাড়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। সে কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট স্যাপার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাগাতিপাড়া থেকে মা হেনা বেগম ছোট ছেলে রিয়াদের চিকিৎসার জন্য নাটোর সদরে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে নাটোর পিটিআই এলাকায় নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কে একটি দ্রুতগামী বাস মোটরাসাকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ওইদিনই মা হেনা বেগম মারা যান এবং পাঁচ বছর বয়সী ছোট শিশু সন্তান রিয়াদ মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে গিয়েও অলৌকিকভাবে অক্ষত রয়ে যায়।
ওইদিন গুরুত্বর আহত অবস্থায় চালক রুদ্রকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সে মারা যায়। দয়ারামপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুর ইসলাম মিঠু শিক্ষার্থী রুদ্রের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
