দুদিন ব্যাপী যাত্রা উৎসব

বাগাতিপাড়ায় যাত্রাপালা ‘নাচ মহল’ মঞ্চস্থ

বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:
প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য যাত্রাপালা হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গালিমপুরের শতবর্ষী গিরিশ নাট্যমন্দিরকে ঘিরে গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন সময় মঞ্চস্থ হয় নাচ মহল, সিরাজউদ্দৌলা, টিপু সুলতান, সাগর ভাষা, পরাজিত সম্রাটসহ বিখ্যাত যাত্রাপালা।

এর ধারাবাহিকতায় গ্রাম বাংলার লোক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এই বিলুপ্তপ্রায় যাত্রা শিল্পকে ধরে রাখতে এ বছর বাগাতিপাড়ায় দুই দিন ব্যাপী যাত্রা উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাতে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে জমিদার বাড়ি গিরিশ ধাম সংলগ্ন মঞ্চস্থ হয় ‘নাচ মহল’ যাত্রাপালা। যাত্রাপালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক যুগ্ম সচিব মলয় কুমার রায়।

স্থানীয় শিল্পীরা এতে অংশ নেন। দর্শক উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ঐহিহাসিক যাত্রাপালা ‘নাচ মহল’ আয়োজন করে স্থানীয় বকুল স্মৃতি থিয়েটার। আয়োজকরা বলেন, যাত্রাটির রচয়িতা ভৈরব নাথ গঙ্গোপাধ্যায় এবং পরিচালনায় ছিলেন দেবাশীষ কুন্ডু। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেবাশীষ কুন্ডু, মুজিবুল হক, মসগুল হোসেন, ফারুখ হোসেন, জিন্নাত আলী, জালাল উদ্দিন, সুমি, সালমাসহ ১৫ জন।

যাত্রাপালায় অভিনয়কারী শিল্পী ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ইলামিত্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী মসগুল হোসেন ইতি বলেন, ঐতিহাসিব যাত্রাপালা ‘নাচ মহল’ এর কাহিনী দর্শকদের মন জয় করেছে। যাত্রাপালায় হিন্দু-মুসলমান দুই ধর্মের দুই রাজার মধ্যে একে অপরকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার এবং রাজ্য দখলের দ্বন্দ্বে সাম্প্রদায়িক লড়াইকে যুবরাজ হেমন্ত সেন কিভাবে নিরসন করেছেন এবং অসম্প্রদায়িক সমাজ গঠণে যুবরাজের ভূমিকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

স/রি